চলতি মরশুমের আইএসএলে প্রথম কোনও ম্যাচ হারল ইস্টবেঙ্গল। বুধবার অ্যাওয়ে ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে ১-২ হেরে বসে থাকল তারা। প্রথমার্ধের শুরুতেই ১৫ মিনিটের মাথায় নওরেম মহেশ সিংয়ের অসাধারণ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরেও, খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দলকে। রেফারির একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর পাশাপাশি বেশ কিছু ভালো সুযোগ নষ্ট করার খেসারতও দিতে হয়েছে লাল-হলুদকে। এদিন বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান সুনীল ছেত্রী। এই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সুনীলকে ধাক্কা দেননি বা ল্যাং মেরে ফেলে দেননি মন্দার রাও দেশাই। হালকা স্পর্শ করতেই বক্সের মধ্যে পড়ে যান সুনীল। তাতেই পেনাল্টি দেন রেফারি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বক্সের মধ্যে হাতে বল লাগা সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে পেনাল্টি দেননি রেফারি। এই নিয়েই ক্ষুব্ধ লাল-হলুদ সমর্থকেরা।
হেরেই বেঙ্গালুরু থেকে ফিরতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ক্লেটন গোল করে জিতিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রাক্তন দল বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জ্বলে উঠতে পারলেন না তিনি। সেই সঙ্গে রক্ষণের কিছু ভুল, যার খেসারত ১-২ ম্যাচ হেরে ইস্টবেঙ্গলকে দিতে হল। বেঙ্গালুরুর এবার আইএসএলে এটাই প্রথম জয়। আর ইস্টবেঙ্গল তিন ম্যাচের মধ্যে প্রথম হারল।
মিস লাল-হলুদের
৯০+২- পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি-কিক পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। পারদো শট নিলেও, সেটা গোলে ঢোকাতে পারেননি। বড় সুযোগ নষ্ট লাল-হলুদের।
৬ মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্দিষ্ট ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। এখনও ১-২ পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল। ৬ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
লাল-হলুদ কি পারবে সমতা ফেরাতে?
৮০ মিনিট- ম্যাচের ৮০ মিনিট হয়ে গেল, ইস্টবেঙ্গল কি পারবে সমতা ফেরাতে? নাকি কুয়াদ্রাতের প্রাক্তন টিম বধ করবে লাল-হলুদকে?
গোওওওওলললল… ২-১ এগিয়ে গেল বেঙ্গালুরু
৭২ মিনিট- সুনীল ছেত্রীর হেডার থেকে বল পান জাভি হার্নান্ডেজ। তিনি তাঁর ডান পা দিয়ে বলটি নিয়ে একটি সাইকেল কিক দিয়ে বাঁ-দিকের জালে বল জড়ান। ১-২ পিছিয়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গল।
লাল-হলুদের মিস
৫৫ মিনিট- নওরেম ডান দিক দিয়ে বলটি টেনে নিয়ে যায়, এবং মাঝামাঝি নীচু করে ক্রস বাড়ান। ক্লেটন সেটি মিস করেন এবং নন্দা বলটি ধরে গোল লক্ষ্যে শট মারেন। কুয়াদ্রাত হতাশ। কারণ একাধিকবার তাঁর দল গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে।
লং বেলা খেলার চেষ্টা লাল-হলুদের
৫০ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল লং-বল খেলার চেষ্টা করছে। খাবরা ডান দিক থেকে বাঁ-দিকে নন্দার দিকে একটি তির্যক ভাবে বল সরবরাহ করেছে। তিনি ডানদিকে কাটিয়ে মহেশের দিকে ক্রস বাড়ানোর চেষ্টা করে। যদিও বলটি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছয়নি। যাইহোক ইস্টবেঙ্গল একটি ভালো চেষ্টা করেছিল। কিন্তু খেই হারিয়ে ফেলে তারা।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। জিততে পারবে ইস্টবেঙ্গল? তবে লাল-হলুদকে জিততে হলে দ্রুত গোলের মুখ খুলতে হবে।
বিরতি
দুই দলের মধ্যে হাড্ডহাড্ডি লড়াই হয়েছে। প্রথমার্ধে খেলার ফল ১-১। দ্বিতীয়ার্ধে আগে গোলের মুখ খুলবে কারা?
৪ মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্দিষ্ট ৪৫ মিনিটের খেলা শেষ। খেলার ফল এখন ১-১। ৪ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
লাল-হলুদের স্ট্র্যাটেজি
৪৪ মিনিট- অন্য বারের তুলনায় এবার ইস্টবেঙ্গলের বড় পার্থক্য হল, ইস্টবেঙ্গল যেমন দ্রুত আক্রমণে উঠছে, তেমনই রক্ষণ সামলাতে তারা ততটাই দ্রুত নেমে আসছে। যে কারণে বেঙ্গালুরু ওপেনলি খেলতে পারছে না। এখনও পর্যন্ত লাল-হলুদ যা খেলেছে, তাতে পেনাল্টি না পেলে, বেঙ্গালুরুর গোল করা কঠিন হত।
গোলের মুখ খুলতে মরিয়া দুই পক্ষই
৩৫ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল গোল পাওয়ার জন্য তেতে রয়েছে। এদিকে বেঙ্গালুরু এফসি-ও তাদের রাইট ফ্ল্যাঙ্ক ধরে আক্রমণ হানাচ্ছে। গোলের মুখ কি বিরতির আগে খুলতে পারবে দুই দলের মধ্যে কেউ?
নন্দার গোল অফসাইডের জন্য বাতিল
২৯ মিনিট- পারদো বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি-কিক নেন, যা গুরপ্রীত সেভ করেন। কিন্তু ফিরতি বল ধরে নন্দা জালে জড়ান। তবে লাইনম্যান গোলটি বাতিল করে দেন। কারণ ফ্রি-কিকের আগে নন্দা অফসাইড পজিশনে ছিলেন।
গোওওওওওললললল… ১-১ করে ফেলল বেঙ্গালুরু
২১ মিনিট- সুনীল ছেত্রী পেনাল্টি নিতে এগিয়ে আসেন। এবং অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার ধীরেসুস্থে শান্ত ভাবে বল জালে জড়ান। প্রভসুখান গিল সঠিক দিকে ঝাঁপ দিলেও শটের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি।
পেনাল্টি পেল বেঙ্গালুরু
১৯ মিনিট- পেনাল্টি পেয়ে গেল বেঙ্গালুরু। সুনীল ছেত্রীকে বক্সের ভিতর ফাউল করে বসেন মন্দার। রেফারি অবিলম্বেই পেনাল্টি দেন। গোল করার চার মিনিটের মধ্যেই চাপে পড়ে গেল লাল-হলুদ।
গোওওওওওললললল… ১-০ এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল
১৫ মিনিট- নন্দা বল পেয়ে এবং ক্লিনিক্যাল পাস বাড়ান নওরেম মহেশ সিংকে। এবং বেঙ্গালুরুর রোহিতকে ডজ দিয়ে মহেশ নিখুঁত প্লেসমেন্টে বল জালে জড়ান। গোলকিপার গুরপ্রীতের কিছুই করার ছিল না। ১-০ এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল।
পেনাল্টির আবেদন
১১ মিনিট- বোরহা কর্নার কিক নিলে সেটি ওভারশট হয় এবং বলটির নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় বেঙ্গালুরু। বল পেতেই কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠে তারা। সুনীল ছেত্রী বল নিয়ে দৌড়তে থাকলে, লালচুংনুঙ্গা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন এবং সুনীলকে বক্সের ভিতর ফেলে দেন। বেঙ্গালুরু পেনাল্টির আবেদন করেন। রেফারি অবশ্য গুরুত্ব দেননি।
সুনীলদের সুযোগ, ঝিমোচ্ছে লাল-হলুদের রক্ষণ
৬ মিনিট- সুনীল ছেত্রী ডানদিকে কার্টিসের কাছ থেকে পাস পেয়ে আক্রমণে ওঠেন। ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ তখন ঝিমোচ্ছে। সুনীল আবার পাস বাড়ান জাভিকে। গোলের ভালো সুযোগ ছিল। যাইহোক, লালচুংনুঙ্গা একটি ব্লক তৈরি করায় এই যাত্রায় রক্ষা পেল লাল-হলুদ।
খেলা শুরু
ইস্টবেঙ্গল-বেঙ্গালুরু ম্যাচ শুরু। জিততে মরিয়া দুই দলই। এই ম্যাচে নিঃসন্দেহে শেয়ানে শেয়ানে কোলাকলি হবে।
বেঙ্গালুরু এফসির একাদশ
ইস্টবেঙ্গলের একাদশ
আইএসএলে দুই দলের মধ্যে লড়াই হয় শেয়ানে শেয়ানে
আইএসএলে বেঙ্গালুরু এফসি এবং ইস্টবেঙ্গল এফসি-র মধ্যে যত বারই দেখা হয়েছে, জমে উঠেছে ফুটবলের লড়াই। ছ’বারের মুখোমুখিতে বেঙ্গালুরু জিতেছে দু’বার। ইস্টবেঙ্গল তিন বার। বাকি একবার ড্র হয়েছে।
ক্লেটন খেলেছেন বেঙ্গালুরুতে
বেঙ্গালুরু এফসিতে কুয়াদ্রাতের কোচিংয়েই অভিষেক হয়েছিল ক্লেটনের। বিএফসির জার্সিতে নজর কাড়ার পর গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। বেঙ্গালুরুতে কুয়াদ্রাত কোচ থাকার সময় ওই মরসুমে ১৬ গোল করেছিলেন ক্লেটন। ক্লেটন-কুয়াদ্রাত জুটি এবার লাল-হলুদে কতটা সফল হয়, সেটাই দেখার।
নস্ট্যালজিক কুয়াদ্রাত
এবার আইএসএলের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। ২০১৮ সালে কুয়াদ্রাতের কোচিংয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি। এবার সেই দলের বিরুদ্ধেই ইস্টবেঙ্গল কোচ হিসাবে বেঞ্চে থাকবেন কুয়াদ্রাত। বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামের প্রতিটি ঘাসই তিনি হাতের তালুর মতো চেনেন। চেনা মাঠে, চেনা পরিবেশে অবশ্য বুধবার অন্য লড়াই কার্লেস কুয়াদ্রাতের। যে বেঙ্গালুরু এফসি-কে সাফল্য দেওয়ার জন্য একটা সময়ে কঠিন থেকে কঠিনতম সব অঙ্কের হিসাব মিলাতেন কুয়াদ্রাত, সেই দলকে হারানোর জন্য এবার স্ট্র্যাটেজি ছকতে হচ্ছে স্প্যানিশ কোচকে। নস্ট্যালজিক স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘এখানকার সমর্থকেরা দুর্দান্ত। দলের জন্য সব সময়ে গলা ফাটায়। ওরা দলকে অনেক সাহায্য করে। সব ম্যাচই খুব কম ব্যবধানে নিষ্পত্তি হচ্ছে। যারা প্রথমে গোল করে এগিয়ে যাবে, তারা এই ম্যাচে অনেক সুবিধা পাবে। দুই দলই ভালো এবং ধারাবাহিক। যে কেউ জিততে পারে।’
বেঙ্গালুরুর এবারের আইএসএল এখনও জয়হীন
ইস্টবেঙ্গলের মতো শুরুটা ভালো করতে পারেনি বেঙ্গালুরু। তারা পরপর দুই ম্যাচ হেরে বসে রয়েছে। তবে লাল-হলুদ কোচ কিন্তু নিজের প্রাক্তন দল নিয়ে সতর্ক। বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠে তাদের বাড়তি সমীহ করছেন কুয়াদ্রাত। এই বেঙ্গালুরুকেই আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করিয়েছিলেন স্প্য়ানিশ কোচ। এখন সেই দলের বিরুদ্ধেই তাঁকে কষতে হচ্ছে কঠিন স্ট্র্যাটেজি।
ইস্টবেঙ্গলের এবারের আইএসএলের ফলাফল
এবারের আইএসএলের প্রথম ম্যাচে জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে ড্র। পরের ম্যাচে হায়দরাবাদের বিপক্ষে দুরন্ত জয়। ওই ম্যাচে দলের অধিনায়ক ক্লেটন সিলভার অনবদ্য ফ্রিকিক লাল হলুদ দলকে জয় এনে দিয়েছিল। বুধবার তৃতীয় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত ব্রিগেডের সামনে বেঙ্গালুরু এফসি। এই ম্যাচেও জয়ের ধারা ধরে রাখতে মরিয়া লাল-হলুদ বাহিনী।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।