এ বার আইএসএলে হাইভোল্টেজ ডার্বি হবে কলকাতার যুবভারতীতে। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান যবে থেকে আইএসএলে যোগ দিয়েছেন, তার পর থেকে করোনার জন্য গোয়াতেই হয়েছে কলকাতা ডার্বি। তাই এ বারের আইএসএলের ডার্বি ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। ২০ অক্টোবর ডার্বি হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে দুই দলই জয়ে ফিরেছে। যা আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে দুই প্রধানকে।
পরপর দুই ম্যাচে হারের পর নর্থ ইস্টকে হারিয়ে লাল-হলুদ শিবিরে স্বস্তি ফিরেছে।আর এই জয়ের ধারাই তারা ডার্বিতেও ধরে রাখতে চায়। ডার্বি থেকে তাই তিন পয়েন্ট ছাড়া আর কিছু ভাবছে না লাল-হলুদ ব্রিগেড।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ আর আক্রমণ বেশ ভালো- নিজেদের ডিফেন্সের ফাঁক পূরণে মন প্রীতমদের
তবে প্রতিপক্ষ এটিকে মোহনবাগান আবার আগের ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সকে পাঁচ গোল দিয়েছে। ফলে তারাও কিন্তু মানসিক ভাবে ভালো জায়গায় থাকবে। তাই সতর্ক লাল-হলুদ কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। ইস্টবেঙ্গলের মিডিয়া টিমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডার্বি প্রসঙ্গে ব্রিটিশ কোচ বলেছেন, ‘আমার কাছে সব ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটা বলাই বাহুল্য, বড় ম্যাচের আলাদা মাহাত্ম্য আছে। আমরা একটা জয় ও অনেকটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে এই ম্যাচে নামব। এই মরসুমে এটা আমাদের চতুর্থ ম্যাচ হতে চলেছে। এটুকু বলতে পারি, ক্রমশ আমরা উন্নতি করছি। দলের খেলোয়াড়রাও এখন একে অপরের ভূমিকা সম্পর্কে আগের চেয়ে বেশি ওয়াকিবহাল। আমরা প্রত্যেকে ডার্বি খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। আশা করি শনিবার আমরা তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ব।’
আরও পড়ুন: দুরন্ত কামব্যাক,নর্থইস্টকে উড়িয়ে এ বার ISL-এ প্রথম জয় লাল-হলুদের
কারালাম্বোস কিরিয়াকু, ক্লেটন সিলভা, অ্যালেক্স লিমার মতো বিদেশিরা যেমন আগে কখনও ডার্বি খেলেননি, তেমনই অনিকেত যাদব, কমলজিৎ সিংরাও ডার্বির স্বাদ পাননি। তবে কনস্ট্যান্টাইন বলেছেন, ‘এ গুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ওদের ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তাই ওরা শনিবার সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। বড় ম্যাচে গ্যালারি ভর্তি দর্শক থাকবে। আমরা জানি কলকাতায় এই ম্যাচ নিয়ে কতটা উদ্দীপনা থাকে। যারা ভালো খেলছে, তারা ঠিক সে দিন সুযোগ পাবে। আশা করি, ওরা নিজেদের সেরাটা মাঠে দেবে এবং আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।’
নর্থ ইস্ট ম্যাচে জয় নিয়ে কনস্ট্যান্টাইন বলেছেন, ‘নর্থ ইস্ট ম্যাচের আগে আমরা এক সপ্তাহ ধরে বেশ কঠোর অনুশীলন করেছি। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোচেরাও প্রচুর পরিশ্রম করছে। একটি দলে ম্যাচ ও অনুশীলন ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকে। বিরতির সময়টা আরও ভালো ভাবে কাজে লাগিয়েছি। খুব বেশি সময় পাওয়া যায় না ঠিকই। তার মধ্যেই সেই ম্যাচে খেলোয়াড়দের বলেছিলাম, প্রথমার্ধের দাপট যেন দ্বিতীয়ার্ধেও বজায় থাকে। আমাদের প্রতিপক্ষ দু’খানা ভাল সুযোগ তৈরি করেছিল। আমরা ওদের গোল করতে দিইনি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা খুব ভালো শুরু করি এবং কিরিয়াকু অনবদ্য একটি গোল করে আমাদের ২-০ এগিয়ে দেয়। ওই গোলটার পরেই এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, আমরা তিন পয়েন্ট পাচ্ছি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।