সিদ্ধান্তটা কঠিন ছিল, তবুও নিয়েই ফেললেন স্প্যানিশ তারকা গার্বাইন মুগুরুজা। টেনিস থেকে অবসর নিলেন ৩০ বছর বয়সি এই খেলোয়াড়। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে কোর্টে নামা হয়নি প্রাক্তন বিশ্বের এক নম্বর মহিলা টেনিস খেলোয়াড়ের। এরপর ভেবেছিলেন বিরতি নিয়ে ফিরে আসবেন। কিন্তু ফিটনেস হারাচ্ছিলেন। তবু চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত বুঝতে পারছেন আর কেরিয়ারে স্বমহিমায় ফিরতে পারবেন না। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন দুবারের গ্র্যান্ডস্লামজয়ী এই স্প্যানিশ টেনিস খেলোয়াড়। শনিবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই নিজের বর্ণময় কেরিয়ারে ইতি টানার কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন-অসুস্থতা নিয়েই হোটেল রুমে ওড়িশা বধের নীল নকশা তৈরি করলেন হাবাস
২০১৬ সালে ফরাসি ওপেনের সিঙ্গলস খেতাব জিতেছিলেন গার্বাইন মুগুরুজা। সেই সময় গোটা টেনিস বিশ্বকেই হতবাক করে দিয়েছিলেন ভেনিজুয়েলায় জন্মানো এই মহিলা টেনিস খেলোয়াড়। হারিয়ে দেন তিনি সেই সময়ের সেরা খেলোয়াড় সেরেনা উইলিয়ামসকে। শারাপোভার মতো তারকারা যখন সেরেনার বিপক্ষে দাঁড়াতে পারছিলেন না, তখনই অসাধ্য সাধন করে দেখান স্প্যানিশ মুগুরুজা। তাও মাত্র দুই সেটের লড়াইতেই। সেই থেকেই টেনিস বিশ্ব নাম চিনতে শুরু করে তাঁর।
আরও পড়ুন-ISL -৬১,৭৭৭-তে অভিভূত FSDL! মোহনবাগান উঠলে ISL ফাইনাল হবে কলকাতায়, নাহলে পুঁচকে মুম্বইয়ে
এরপরের বছরই নজর কাড়েন উইম্বলডনে। এখানে তিনি গ্রাস কোর্টে চ্যাম্পিয়ন হন। জিতে নেন নিজের দ্বিতীয় গ্রান্ডস্লাম। এক্ষেত্রেও ফল ছিল অনেকটা একই। দুই সেটেই সেরেনা উইলিয়ামসের দিদি ভেনাস উইলিয়ামসকে হারিয়ে দেন স্প্যানিশ সুন্দরী। এরপর বিশ্বের এক নম্বর সিঙ্গলস মহিলা খেলোয়াড়ও হন। কিন্তু পরবর্তী সময় খেলায় ছন্দের অভাব দেখা যায় তাঁর। শেষ পর্যন্ত টেনিসকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন মুগুরুজা।
আরও পড়ুন-ফের চতুর্থ, অল্পের জন্য এফআইজি অ্যাপারাটাস ওয়ার্ল্ডকাপে পদক হাতছাড়া দীপার
বিদায় বেলায় গার্বাইন বলছেন, ‘এটাই সঠিক সময় টেনিস থেকে বিদায় নেওয়ার। একটা দীর্ঘ এবং সুন্দর যাত্রাপথ পেরিয়ে এলাম। আমার মনে হচ্ছে এবার সময় এসেছে গুডবাই জানানোর। আমি প্রতিযোগিতামুলক খেলা বন্ধ করার পর অবসর সময় উপভোগ করছিলাম। এটা কোনও একদিনের সিদ্ধান্ত নয়। আসতে আসতে নিচ্ছিলাম সিদ্ধান্তটা। শেষ পর্যন্ত নিয়েই ফেললাম’।
২০১২ সালে ডাব্লুটিএর মুল পর্বে অভিষেক হয় গার্বাইন মুগুরুজার। বর্তমানে থাকেন সুইৎজারল্যান্ডে। ফ্রেঞ্চ ওপেন এবং উইম্বলডনে তিনি নজির গড়েছিলেন দেশের হয়ে। কারণ ১৯৯৮ ফরাসি ওপেনজয়ী স্যাঞ্চেজের পর তিনি প্রথম স্প্যানিশ মহিলা হিসেবে ফরাসি ওপেন জিতেছিলেন। এদিকে ১৯৯৪ সালে মার্টিনেজের পর তিনি প্রথম স্প্যানিশ মহিলা খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনও জিতেছিলেন। ফলে স্পেনের টেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি যে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন, তা আর বলতে বাকি নেই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।