করোনা আক্রান্ত মিচেল মার্শ। পঞ্জাব ম্যাচের আগে শেষ মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে টিম সেফার্তের শরীরেও। ফিট নন এনরিখ নরকিয়া। শেষবেলায় করোনা টেস্টে উতরে না গেলে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে দল নামানোই মুশকিল ছিল ঋষভ পন্তদের।
কোয়ারান্টাইন থেকে বেরিয়ে ভাঙা দল নিয়েই যে এমন দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দেবে দিল্লি ক্যাপিটালস, তা আগে থেকে অনুমান করা মুশকিল ছিল। ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে পঞ্জাব কিংসকে ৫৭ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে দিল্লি।
টস জিতে পঞ্জাবকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় দিল্লি। পঞ্জাব কিংস ২০ ওভারে মাত্র ১১৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। চলতি আইপিএলে এটিই কোনও দলের সব থেকে কম রানের ইনিংস। জিতেশ শর্মা দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩২ রান করেন। এছাড়া মায়াঙ্ক আগরওয়াল ২৪ রানের যোগদান রাখেন।
শিখর ধাওয়ান ৯, জনি বেয়ারস্টো ৯, লিয়াম লিভিংস্টোন ২, শাহরুখ খান ১২, কাগিসো রাবাদা ২, ন্যাথন এলিস ০, রাহুল চাহার ১২ ও অর্শদীপ সিং ৯ রান করে আউট হন। ২ রানে অপরাজিত থাকেন বৈভব আরোরা।
দিল্লির হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১০ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল। কুলদীপ যাদব ২৪ রানে ২টি উইকেট দখল করেন। খলিল আহমেদ ২১ রানে ২টি ও ললিত যাদব ১১ রানে ২টি উইকেট পকেটে পোরেন। ২৮ রানে ১টি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন:- DC vs PBKS: IPL 2022-এর সর্বনিম্ন রান, পাওয়ার প্লে-তে সর্বোচ্চ স্কোর, হল নজির
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ১০.৩ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১১৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। পৃথ্বী শ ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২০ বলে ৪১ রান করে রাহুল চাহারের বলে আউট হন। ১০টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩০ বলে ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার। ১৩ বলে ১২ রান করে নট-আউট থাকেন সরফরাজ খান। ম্যাচের সেরা হন কুলদীপ যাদব।
দিল্লি এই প্রথম আইপিএলে কোনও ম্যাচ ৫০টির বেশি বল বাকি থাকতে জেতে। সেদিক থেকে এটি তাদের আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড জয়। এর আগে দিল্লি ২০০৮ সালে ডেকান চার্জার্সের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি ৪২টি বল বাকি থাকতে জয়ে তুলে নিয়েছিল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।