কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইনিংসের ১৬তম ওভারে তখন আগুনে মেজাজে কুলদীপ যাদব। নাইটদের একের পর এক উইকেট ফেলছেন তিনি। আসলে ১৬তম ওভারে কুলদীপ বল করতে এসেই নাইটদের জেতার ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ করে দেন।
প্রথমে ১৫.৩ ওভারে প্যাট কামিন্সকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। ৩ বল খেলে ৪ করে আউট হন কামিন্স। এর পর ১৫.৫ ওভারে ২ বলে ৪ রান করে কুলদীপের বলে পাওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সুনীল নারিন। ১৫.৬ ওভারে নিজের বলেই দুরন্ত ক্যাচ ধরে উমেশ যাদবকে প্যাভিলিয়নে ফেরান কুলদীপ। প্রথম বলেই ডাক করে আউট হন উমেশ। এই ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে নাইটদের হাত থেকে ম্যাচ বের হয়ে যায়। তার আগে ছন্দে থাকা শ্রেয়সকেও ফিরিয়েছেন তিনি। পুরনো টিমের বিরুদ্ধে একেবারে আগুন ঝরিয়ে যেন প্রতিশোধ নিলেন চায়নাম্যান।
খেলার রং বদলে দিয়ে ম্যাচের সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হন কুলদীপই। ম্যাচের পর তিনি বলছিলেন, ‘শ্রেয়স আইয়ারের উইকেটটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ ও বোলারদের মারছিল। এবং ছন্দে চলে এসেছিল। শ্রেয়সের উইকেটটা এই ম্যাচে প্রথম ছিল। তাই ওই উইকেট নিয়ে আমি উচ্ছ্বসিতও ছিলাম। তা ছাড়া ওই উইকেটটা সেই সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি খুব বেশি চেষ্টা করেছি, তা নয়। শুধু আমার গতি ধরে রাখতে চেয়েছি। আর সঠিক লেন্থে বল করাতে ফোকাস করেছি। সবচেয়ে ভালো দিক হল, আমি আমার খেলা উপভোগ করেছি। উইকেটের পিছনে থেকে অধিনায়ক ঋষভ যে ভাবে গাইড করেছে, সেটাও আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
টসে জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পৃথ্বী শ' (২৯ বলে ৫১ রান), ডেভিড ওয়ার্নার (৪৫ বলে ৬১ রান), ঋষভ পন্ত (১৪ বলে ২৭ রান), শার্দুল ঠাকুর (১১ বলে অপরাজিত ২৯ রান), অক্ষর প্যাটেলদের (১৪ বলে অপরাজিত ২২ রান) সৌজন্যে ২১৫ রানের বড় ইনিংস গড়ে দিল্লি। ২ উইকেট নেন কেকেআর-এর সুনীল নারিন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন উমেশ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী এবং আন্দ্রে রাসেল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ বল বাকি থাকতে ১৭১ রানেই অল আউট হয়ে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স।
শ্রেয়স আইয়ারের ৩৩ বলে ৫৪, নীতিশ রানার ২০ বলে ৩০ এবং আন্দ্রে রাসেলের ২১ বলে ২৪- এই হল কলকাতার তিন ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ রান। বাকিরা কেউ সে ভাবে প্রতিরোধই গড়ে তুলত পারেননি। কুলদীপ একাই নেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন খালিল আহমেদ। ২ উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। ১ উইকেট নিয়েছেন ললিত যাদব। ৪৪ রানে ম্যাচটি জিতে যায় দিল্লি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।