বাংলা নিউজ > ময়দান > আইপিএল-2023 > সবাই কি আর ধোনি হতে পারে! শেষ বলে ডোবালেন কার্তিক, কটাক্ষ নেটপাড়ায়

সবাই কি আর ধোনি হতে পারে! শেষ বলে ডোবালেন কার্তিক, কটাক্ষ নেটপাড়ায়

ম্যাচের শেষ ওভারে রান আউট মিস করলেন হার্ষাল প্যাটেল ও দীনেশ কার্তিক (ছবি-টুইটার)  

শেষ বলটি করার সময় সেটাই ঘটেছিল, কিন্তু কার্তিক বল ধরতে গিয়ে স্লিপ হয়ে যান ফলে তাঁর হাত থেকে বলটি পড়ে যায় এবং আবেশ ও বিষ্ণোই রান নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যান। কার্তিক যখন বল ধরে থ্রো করেন ততক্ষণে রান শেষ হয়ে গিয়েছে।

২০২৩ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মরশুমের একটি রোমাঞ্চকর ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে শেষ বলে হেরেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। লখনউয়ের শেষ বলে জয়ের জন্য এক রান দরকার ছিল এবং আবেশ খান এবং রবি বিষ্ণোই মাঠে ব্যাট হাতে ক্রিজে উপস্থিত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত দীনেশ কার্তিকের ভুলে একটি রান নিয়ে ম্যাচ জেতে লখনউ। এই সময়ে দীনেশ কার্তিক একটি গ্লাভস বের করে পুরোপুরি সতর্ক ছিলেন, কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো কিছু করতে পারেননি।

আসলে ২০২৩ সালের আইপিএল-এর ১৫তম ম্যাচের শেষ ওভারে জয়ের জন্য লখনউ-এর দরকার ছিল ৫ রান। বল ছিল হার্ষাল প্যাটেলের হাতে। জয়দেব উনাদকাট প্রথম বলে রান চুরি করেন এবং পরের বলে মার্ক উডকে ক্লিন বোল্ড করে লখনউকে বড় ধাক্কা দেন হার্ষাল। এখন দ্বিতীয় বলে রবি বিষ্ণোই দুই রান নিলে ব্যবধান আরও কমে যায়। এখন এক রান বাঁচাতে মাঠ পুরোপুরি আঁটসাঁট ফিল্ডিং দেয় ব্যাঙ্গালোর। তারপর চতুর্থ বলে ডিপ স্কোয়ারের দিকে খেলে রান চুরি করেন রবি বিষ্ণোই।

আরও পড়ুন… IPL 2023 -এ জয়ের খাতা খুলতে পারেনি DC ও MI! আজকের ম্যাচে দলে কি কোনও চমক থাকবে?

সেই সময়ে স্কোর সমান ছিল। ওভারের ৫ম বলে জয়দেব উনাদকাটকে ফ্যাফ ডু প্লেসির হাতে ক্যাচ দেন, উইকেট তুলে খেলা জমিয়ে দেন হার্ষাল প্যাটেল। ৭ বলে ৯ রান করে আউট হন তিনি। তখন দুই দলের স্কোর সমান ছিল। প্রত্যেকেই মনে করেছিল যে টুর্নামেন্টের প্রথম সুপার ওভারটি এবার হয়তো হতে পারে। কারণ হার্ষাল প্যাটেলের শেষ বলে আবেশ খানের রান নেওয়াটা এত সহজ হবে না। সেই সময়ে হার্ষাল প্যাটেল বল ছোঁড়ার আগে ক্রিজের বাইরে থাকা রবি বিষ্ণোইকে মানকাডিং করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সেটা কাজে আসেনি।

এই সময়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির কীর্তি করতে চেয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। তবে তাতে তিনি ব্যর্থ হন। হার্ষাল প্যাটেলের ওভারের শেষ বলে দীনেশ কার্তিক গ্লাভস ছাড়া হাতে প্রস্তুত ছিলেন। তিনি জানতেন যে ব্যাটে বল না লাগলেও ব্যাটসম্যানের রানের জন্য দৌড়ানোর চেষ্টা করবেন। শেষ বলটি করার সময় সেটাই ঘটেছিল, কিন্তু কার্তিক বল ধরতে গিয়ে স্লিপ হয়ে যান ফলে তাঁর হাত থেকে বলটি পড়ে যায় এবং আবেশ ও বিষ্ণোই রান নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যান। কার্তিক যখন বল ধরে থ্রো করেন ততক্ষণে রান শেষ হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: কোহলিকে চোখ দেখালেন, RCB ভক্তদের চুপ করতে বললেন! পুরানো মেজাজে গম্ভীর

আসলে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একই অবস্থা হয়েছিল। অ্যাডিলেডে শেষ বলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ২ রান, সুপার ওভারে দরকার এক রান। এমএস ধোনি চালাকি করে মুশফিকুর রহমানকে রানআউট করে ম্যাচটা ভারতের ঝুলিতে ফেলে দেন। সে সময় বোলার ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। এই শেষ বলের থ্রিলারটি ইতিহাসে রেকর্ড করা হয়েছিল। তেমনই কিছু করতে চেয়েছিলেন কার্তিক। তবে শেষ পর্যন্ত সফল হননি ডিকে। এরপরে দর্শকরা বলা শুরু করেছেন যদি কার্তিকের জায়গায় ধোনি থাকতেন তাহলে হয়তো এমন রান নিতে পারতেন না আবেশ ও বিষ্ণোই, ফলে জিততে পারত না লখনউ। সোশ্যাল মিডিয়াতে সকলে বলা শুরু করেছেন যে সবাই ধোনি হতে পারে না।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন