দল সেই অর্থে কখনও তাঁকে গুরুত্ব দেয়নি। অথচ সেই রিঙ্কু সিং যে আদ্যন্ত টিম ম্যান, সেটা বোঝা গেল আরও একবার।
বুধবার ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে লখনউয়ের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে ব্যাট হাতে অবিশ্বাস্য লড়াই চালান রিঙ্কু। আন্দ্রে রাসেল আউট হওয়ার পরে কলকাতার সম্ভাবনা শেষ বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। তবে রিঙ্কু সিং যে এভাবে ছবিটা বদলে দেওয়ার উপক্রম করবেন, তা আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব ছিল না।
শুধুমাত্র রিঙ্কুর জন্য কলকাতা ম্যাচ জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। এভিন লুইস এক হাতে রিঙ্কুর দুর্দান্ত ক্যাচ না ধরলে কলকাতাকে ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারতেন তিনি। তবে রিঙ্কু আউট হতেই ভবিতব্য নিশ্চিত হয়ে যায় কেকেআরের। শেষ বলে জয়ের জন্য ৩ রান দরকার ছিল কলকাতার। উমেশ যাদব আউট হয়ে বসায় ম্যাচ হারতে হয় নাইট রাইডার্সকে।
রিঙ্কু ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১৫ বলে ৪০ রান করে আউট হন। শেষ ওভারে জিততে ২১ রান দরকার ছিল কেকেআরের। রিঙ্কু প্রথম বলে চার মারেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে পরপর দু'টি ছক্কা হাঁকান। চতুর্থ বলে ২ রান নেন এবং পঞ্চম বলে আউট হন। ম্যাচ জিতলে যাঁর নায়ক হওয়ার কথা ছিল, তাঁকে থেকে যেতে হয় ট্র্যাজিক হিরো হয়ে। কলকাতা লখনউয়ের কাছে হেরে আইপিএল থেকে বিদায় নিলেও ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জিতে নেয় রিঙ্কুর লড়াই।
ম্যাচের শেষে রিঙ্কুকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। তাঁকে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় নীতিশ রানাকে। স্বাভাবিকভাবেই এমন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।