শেষ ওভার। বিপক্ষ দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। জিততে হলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের প্রয়োজন ১১ রান। বোলিং করতে এলেন মহসিন খান। সামনে ক্যামেরন গ্রীন এবং টিম ডেভিড। তাদেরকে একের পর এক করে গেলেন ইয়র্কার ও স্লো ডিলিভারি। তাতেই বাজিমাত। দেন মাত্র পাঁচ রান। মহসিন খানের এই লড়াকু বোলিংয়ের ফলেই প্লেঅফে যাওয়ার আশা ধরে রাখলো লখনউ সুপার জায়ান্টস।
এই অসাধারণ বোলিং করে দলকে জেতানো সোজা ছিল না মহসিনের কাছে। দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। চোটের জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছিল খেলা। এই ম্যাচ খেলতে নামার আগে মানসিক দিক থেকে অনেকটা চাপে ছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি ছিল তাঁর বাবা। মহসিনের খেলতে নামার আগের দিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। ম্যাচের পর স্বাভাবিকভাবেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মহসিন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে সম্প্রচারকারী সংস্থাকে তিনি বলেন, 'এটা খুব কঠিন সময় আমার জন্য। এক বছর পর চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরছি। গত দশ দিন ধরে আমার বাবা হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন। গতকালই তিনি ছাড়া পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। আমি এটা বাবার জন্যই করেছি।' সুপার জায়ান্টসদের জয়ের কান্ডারি, ম্যাচের পরেই তাঁর বাবাকে ভিডিয়ো কল করেন। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো বাবা।'
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে মহসিন তিন ওভারে ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন। এর সঙ্গে সঙ্গে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আক্রমনাত্মক ব্যাটারদের সামনে নিজের স্নায়ুকে ঠান্ডা রাখেন। শেষ ওভারে মাত্র ১১ রান বাঁচাতে এসে খরচ করেন ৫ রান। এই বিষয়ে তিনি বলেন, 'শেষ ওভারে বল করার সময় আমার কাছে আসে ক্রুনাল পান্ডিয়া। তখন আমি ওকে বলি আমি যে ভাবে বল করা প্র্যাকটিস করেছি সেই ভাবেই করব। তাই করেছি। আর তাতেই সাফল্য এসেছে।' মহসিন গত বছরও সুপার জায়ান্টসদের হয়ে খেলেন। ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে সকলের নজরে আসেন। চোটের কারণে আইপিএল সহ ঘরোয়া মরশুম থেকে ছিটকে যান।
লখনউ সুপার জায়ান্টস ১৩ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ টেবিলের তিন নম্বর স্থানে উঠে এসেছে। প্রথম স্থানে রয়েছে গুজরাট টাইটানস। দ্বিতীয় স্থানে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটানস ছাড়া এখনও কোন দল প্লেঅফে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নিতে পারেনি। তবে এই ম্যাচ জেতার পরে লখনউ প্লে অফের দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে গেল।
(আইপিএলের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- https://bangla.hindustantimes.com/sports/ipl)