সাফল্য যেন মাথা ঘুরিয়ে না দেয়- রিঙ্কু সিংকে সতর্ক করলেন সুনীল গাভাসকর

কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ম্যাচজয়ী রিঙ্কু সিংকে সাবধান করলেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার। জানেন কেন এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন গাভাসকর? কিংবদন্তি ক্রিকেটার বলেছেন যে সাফল্য মাথায় উঠতে দেবেন না কারণ সাফল্যকে মাথায় যেতে দেওয়া উচিত নয়।

সুনীল গাভাসকর ও রিঙ্কু সিং (ছবি-পিটিআই/এএনআই)

কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ম্যাচজয়ী রিঙ্কু সিংকে সাবধান করলেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার। জানেন কেন এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন গাভাসকর? ২০২৩ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচগুলির মধ্যে যদি কোনও ম্যাচকে শীর্ষে রাখা হয়, সেটি অবশ্যই হবে ৯ এপ্রিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) বনাম গুজরাট টাইটানসের মধ্যে খেলা ম্যাচটি। সেই ম্যাচে রিঙ্কু সিংয়ের অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর সকলের মুখে মুখে ছিল কেকেআর তারকার নাম। এই ম্যাচের শেষ ওভারে কেকেআর-এর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। এবং কেকেআর প্রথম বলে মাত্র একটি সিঙ্গেল নিয়ে ছিল। শেষ ওভারের প্রথম বলে উমেশ যাদব সিঙ্গেল নিয়ে রিঙ্কু সিংকে স্ট্রাইক দিয়েছিলেন। এরপর যখন সকলেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখন যশ ধুলের ওভারে টানা পাঁচটি ছক্কা মেরে কেকেআরকে ঐতিহাসিক জয় এনে দিয়ে ছিলেন রিঙ্কু সিং। এরপরে অবশ্য রিঙ্কুর ব্যাট থেকে সে রকম পারফরমেন্স দেখা যায়নি। এবার রিঙ্কু সিংকে সতর্ক করলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বর্তমান ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাসকর। কিংবদন্তি ক্রিকেটার বলেছেন যে সাফল্য মাথায় উঠতে দেবেন না কারণ সাফল্যকে মাথায় যেতে দেওয়া উচিত নয়।

মিড-ডে-তে সুনীল গাভাসকর নিজের কলামে লিখেছেন, ‘অবশ্যই, অনেকের চোখ তাঁর দিকেই থাকবে। তিনি যা করেছেন তার পর মানুষ তাঁর কাছ থেকে আরও বেশি আশা করবে। এমন অবস্থায় তিনি এবং তাঁর পরিবার কীভাবে এই আকস্মিক লাইমলাইট সামলান সেটাই দেখার। তা জানা যাবে কীভাবে তিনি তাঁর ক্যারিয়ারে এগিয়ে যান। একজন ব্যক্তি যদি তাঁর সাফল্য উপভোগ করে তবে এতে দোষের কিছু নেই। যতক্ষণ সে জানে দিনের পর রাত আসে। পড়ে যাওয়ার পর কীভাবে একজন নিজেকে তুলে নেয় সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

(আইপিএলের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- https://bangla.hindustantimes.com/sports/ipl) 

সুনীল গাভাসকর আরও লিখেছেন এমন পরিস্থিতিতে পরিবার এবং বন্ধুদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এক ওভারে পাঁচটির বেশি ছক্কা মেরেছেন, ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুবরাজ সিং এক ওভারে ছয়টি ছক্কা মেরেছিলেন। কিন্তু জয়ের জন্য ৩০ রানের প্রয়োজনে শেষ ওভারে পাঁচটি ছক্কা মারলে তা রূপকথার গল্পের চেয়ে কম কিছু নয়। 

সুনীল গাভাসকর লিখেছেন, ‘খারাপ সময়ে পরিবার এবং বন্ধুদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আপনার পরিবারের সদস্যরা যারা আপনাকে উপরে তোলে এবং আপনাকে বিশ্বাস দেয় যে আপনি এটি আবার করতে পারেন। যখন এটি ঘটবে, ব্যক্তিটি কেবল একজন ভালো খেলোয়াড় হয়ে ওঠে না, তবে মুদ্রার উভয় দিক দেখতে এবং বুঝতেও প্রস্তুত হয়। কারণ অনেক মানুষ সাফল্য অর্জনের পরে বিবর্ণ হয়ে গেছে শুধুমাত্র কারণ তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের কাছ থেকে কোন ব্যাকআপ ছিল না।’