'উচ্চাকাঙ্ক্ষী'-দের আলাদা একটা জায়গা আছে আমাদের সংস্থায়। এমনই দাবি করলেন ওলা-র সিইও-প্রতিষ্ঠাতা ভাবিশ আগরওয়াল। সম্প্রতি তাঁর কর্মক্ষেত্রে খারাপ ব্যবহার ও কর্মসংস্কৃতি নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষিতে এই জবাব দেন তিনি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁরা অফিসে কেউ ভালো সময় কাটাতে আসেন না। কঠিন কিছু করতে গেলে একটু কঠোর হতে হয়।
বেঙ্গালুরুতে ওলা ক্যাম্পাসে একটি ইভেন্ট চলাকালীন, তিনি বলেন, ওলা এমন কর্মীদের জন্যই আদর্শ, যাঁরা দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিপ্লবের অংশ হয়ে নিজের একটি ছাপ রেখে যেতে চান।
'আমরা খুব একটি পরিশ্রমী একটি কোম্পানি। আমরা খালি কোনও পণ্য বা কোম্পানি তৈরি করতে আসিনি। আমরা এখানে একটি সুন্দর সহজ সময় কাটাতে এবং খালি অর্থ উপার্জনের কথা ভেবে আসিনি। আমরা একসঙ্গে কাজ করছি আমাদের যে স্বপ্ন, সেটা অনুসরণ করতে এবং আমাদের আসল লক্ষ্য অর্জন করতে,' বলেন ভাবিশ।
আরও পড়ুন : কর্মীদের ওপর ছোট ছোট কারণে মেজাজ হারান, শাস্তি দেন ওলার CEO: রিপোর্ট
সম্প্রতি, ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে ওলা-তে 'টক্সিক' কাজের পরিবেশের অভিযোগ ওঠে। প্রতিবেদনে কিছু প্রাক্তন এবং বর্তমান কর্মচারীকে উদ্ধৃত করে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ভাবিশ আগরওয়াল প্রায়শই নিজের আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। কর্মীদের উপর ছোটো-ছোটো কারণেই রাগ প্রকাশ করেন।
ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মীদের একাংশের দাবি, মিটিংয়ে প্রায়শই রেগে যেতেন ভাবিশ আগরওয়াল। কারণও সামান্য। কখনও কখনও খালি পেজ নম্বর না থাকায় গোটা প্রেজেন্টেশন ছিঁড়ে ফেলে দিতেন তিনি। নিজের টিমকে 'অকর্মণ্য' বলেও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতেন বারবার।
সাক্ষাত্কারে কিছু কর্মী জানান, কখনও কখনও এক ঘণ্টার মিটিং ১০ মিনিটেই শেষ করে বেরিয়ে যান ভাবিশ। সেক্ষেত্রেও কারণ যত্সামান্য। হয় তো মেমো কেউ এক লাইন বেশি লিখেছেন, এমনকী বাঁকা পেপার ক্লিপ বা ছাপার কাগজের গুণমান পছন্দ না হলেও রেগে যান। তখনই মিটিং বাতিল করে বেরিয়ে যান।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, ওলা ফিউচার ফ্যাক্টরির এক কর্মী কারখানার এক প্রবেশপথের দরজা খুলে রাখতে ভুলে গিয়েছিলেন। আর সেটা চোখে পড়ে ভাবিশের। তত্ক্ষণাত্ ওই কর্মীকে ডেকে পাঠান। তাঁকে প্ল্যান্টের চারপাশ দিয়ে ৩ পাক দৌড়ে আসতে নির্দেশ দেন তিনি। ওলার এই প্ল্যান্ট বিশ্বের বৃহত্তম ই-স্কুটার কারখানা। আরও পড়ুন : Ola S1 Air: অ্যাকটিভার মতো সস্তা, নতুন মডেল আনল OIa Electric
এই রিপোর্টে যদিও এতটুকু চিন্তিত নন ভাবিশ। তিনি এর প্রতিক্রিয়ায় সাফ জানিয়ে দেন, আমার স্টাইলটা সম্ভবত এখনকার সাধারণ উদ্যোক্তার তুলনায় একটু বেশি আক্রমণাত্মক। আসলে আমাদের একটি আলাদা প্রভাব, যোগ্যতা, এবং উচ্চমানের কাজ করার সংস্কৃতি রয়েছে।