খরমাস বছরে দুবার আসে, প্রথম খরমাস মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত থাকে, দ্বিতীয় খরমাস চলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত। বছরের শেষ মাসে খরমাস আসে। কোনো ধরনের শুভ কাজের জন্য, বিশেষ করে বিবাহের জন্য খরমাসকে শুভ বলে মনে করা হয় না। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে খরমাসে সূর্য দেবতার প্রভাব কমে যায়, তাই খরমাসে কোনো শুভ কাজ করা নিষেধ।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, খরমাস ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে, যা নতুন বছরের ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির দিনে শেষ হবে। তো চলুন জেনে নিই খরমাস কি এবং এই সময়ে কি করা উচিৎ এবং কি করা উচিত নয়।
খরমাস কী?
ধনু রাশিতে সূর্যের স্থানান্তরের সময়কে খরমাস বলা হয়। খর মাস ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় এবং জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে। এই পর্বে জলবায়ু, প্রকৃতি এবং মানুষের আচরণের পরিবর্তনও দেখা যায়। এই সময়ে বিবাহ প্রভৃতি কোন শুভ কাজ করা হয় না। এই সময়টি বিতর্ক জনিত কার্যকলাপের জন্য উপযোগী।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে সূর্য দেবতার অবস্থান পরিবর্তনের প্রক্রিয়াকে সংক্রান্তি বলা হয়। ডিসেম্বরে, সূর্য দেবতা ধনু রাশিতে প্রবেশ করবেন। এটি ধনু সংক্রান্তি নামেও পরিচিত। ২০২৩ সালে নতুন বছরে, ১৪ জানুয়ারী, সূর্যদেব যখন ধুন রাশি থেকে বেরিয়ে মকর রাশিতে প্রবেশ করবেন, তখন মকর সংক্রান্তি পড়বে।
কোন শুভ কাজ হবে না
খরমাসের সময় কোনো শুভ কাজ করা হয় না। এভাবে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত খরমাসের সময় বিয়ে ইত্যাদি কোনো শুভ কাজ করা হয় না। কোনো নতুন কাজ শুরু করার জন্যও খরমাসকে অশুভ মনে করা হয়।
খরমাসে করতে হবে
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, এই পুরো মাসে সূর্য দেবতার আরাধনা করা শুভ বলে মনে করা হয়।
পুরো খরমাসে সূর্যদেবকে তামার পাত্র দিয়ে অর্ঘ্য নিবেদন করতে হবে।
সূর্য স্তোত্র পাঠ ও সূর্যের মন্ত্র জপ করতে হবে।
খরমাসে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে সমস্ত পাপ নাশ হয়, এর পাশাপাশি ঘরে খ্যাতি ও সৌভাগ্য আসে।
এই দিনগুলিতে মা, গরু, গুরুদেব এবং সাধুদের সেবা করুন। এটি শুভ ফল দেয়।
খরমসের সময় এ কাজ করবেন না
খরমসে তামসিক খাদ্য গ্রহণ করবেন না।
অ্যালকোহল ইত্যাদি সেবন করা উচিত নয়।
তামার পাত্রে রাখা জল পান করা উচিত নয়।
এই মাসে কোনও নতুন জিনিস এবং যানবাহন কেনা উচিত নয়।
শুভ কাজের জন্য ঘর করা ইত্যাদি করা উচিত নয়।
এই সময়ের মধ্যে কোন নতুন ব্যবসা শুরু করা উচিত নয়।