জগদ্ধাত্রী দেবীর রূপের বর্ণনায় শোনা যায়, তাঁর গাত্র বর্ণ উদিত সূর্যের মতো। দেবীর বান সিংহ। তবে সিংহের নিচে দেখা যায় হস্তি মুণ্ড। কেন এই হস্তি মুণ্ড দেখা যায়, তা নিয়ে রয়েছে বহু কৌতূহল। পৌরাণিক কাহিনি বলছে, ওই হাতিই আসলে করীন্দ্রাসুর। এই করীন্দ্রাসুর বধ অর্থাৎ অহংকারকে বধ। সেই কাহিনি দেখে নেওয়া যাক।
1/5 সিংহ বাহিনী চতুর্ভূজা দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় আজ মেতেছে বাংলা। এই পুজোতে নবমীর পুজোকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ২১ নভেম্বর ২০২৩ সালে পড়েছে জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী। এই পুজো ঘিরে একাধিক পৌরাণিক কাহিনি বর্ণিত রয়েছে। সেই কাহিনি জানার সঙ্গে সঙ্গে দেখে নেওয়া যাক, জগদ্ধাত্রী পুজো ২০২৪ সালে কত তারিখে পড়ছে।
2/5 জগদ্ধাত্রী দেবীর রূপের বর্ণনায় শোনা যায়, তাঁর গাত্র বর্ণ উদিত সূর্যের মতো। দেবীর বান সিংহ। তবে সিংহের নিচে দেখা যায় হস্তি মুণ্ড। কেন এই হস্তি মুণ্ড দেখা যায়, তা নিয়ে রয়েছে বহু কৌতূহল। পৌরাণিক কাহিনি বলছে, ওই হাতিই আসলে করীন্দ্রাসুর। এই করীন্দ্রাসুর বধ অর্থাৎ অহংকারকে বধ। সেই কাহিনি দেখে নেওয়া যাক।
3/5 শোনা যায় অসুর দমন করে দেব কূলে অহংকার জন্মেছিল। দেবতারা মনে করেছিলেন মহিষাসুর বধের কৃতিত্ব তাঁদেরই। এই অহংকার দমনে দেবী মহায়ামা জগদ্ধাত্রী রূপে অবতীর্ণ হন। তদেবী মহামায়া একখণ্ড তৃণ দেবতাদের দিকে ছুঁড়ে দেন তাঁদের অহংকার দমন করে তাঁদের শক্তি পরীক্ষা করতে। দেবরাজ ইন্দ্র থেকে অগ্নিদেব, বায়ুদেব কেউই সেই তৃণ দমন করতে পারেননি। ব্যর্থ হন বরুণদেবও। দেবতাদের অহং দমনে এরপর সালঙ্কারা দেবী জগদ্ধাত্রী আবির্ভূত হন, তিনি দেখিয়ে দেন অহংকের কুরূপ।
4/5 দেবতাদের অহংকারকে হাতি রূপে কল্পনা করা হয়েছিল, পৌরাণিক কাহিনিতে। সংস্কৃতে হাতিকে করী বলা হয়। সেই থেকে হাতি রূপে করীন্দ্রাসুরকে দেবী জগদ্ধাত্রী গমন করেছেন বলে মনে করা হয়। আর সেই কারণেই হাতির মুণ্ড তাঁর মূর্তির নিচে থাকে।
5/5 ২০২৪ জগদ্ধাত্রী পুজো কবে- সাধারণত কার্তিক মাসের শুক্ল নবমীতে পূজিতা হন দেবী জগদ্ধাত্রী। সেই তিথি মেনে ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পড়ছে জগদ্ধাত্রী পুজো। সেদিন ১৪৩১ সালের ২৪ কার্তিক পড়ছে।