লক্ষ্য একটাই, 'ব্রেক দ্য চেন' অর্থাৎ সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙা। আর সেজন্য আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটল রাজ্য সরকার। সোমবার বিকেল পাঁচটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লকডাউন শুরু হবে। তা চলবে আগামী শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত।
আরও পড়ুন : কলকাতায় আরও ৩ করোনা রোগী, সংক্রমিত বালিগঞ্জের আক্রান্ত যুবকের পরিজনরা
রবিবার নবান্নের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে রাজ্যের ছ'টি জেলায় পুরোপুরি লকডাউন করা হবে। সেই জেলাগুলি হল - উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও হাওড়া।
আরও পড়ুন : করোনা: ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাতিল লোকাল-সহ সব যাত্রীবাহী ট্রেন, বন্ধ কলকাতা মেট্রোও
এদিকে কেন্দ্রের তরফে দেশের সব করোনা আক্রান্ত জেলাগুলিই লকডাউন করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা লকডাউন করার প্রস্তাব ছিল রাজ্যের কাছে। তবে পুরো উত্তর ২৪ পরগনা জেলা লকডাউন করা হচ্ছে না। অন্যদিকে, কলকাতা পুরনিগম এলাকা লকডাউন করার ঘোষণা করেছে রাজ্য।
আরও পড়ুন : Covid-19 Update- বেসরকারি ল্যাবে করোনা পরীক্ষার ছাড়পত্র, দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিল কেন্দ্র
একনজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যের কোন কোন এলাকায় লকডাউন কার্যকরী হবে –
কোচবিহার : সদর শহর।
আলিপুরদুয়ার : সদর শহর ও জয়গাঁ।
জলপাইগুড়ি : সদর শহর।
কালিম্পং : সদর শহর।
দার্জিলিং : সদর শহর, কার্শিয়াং ও শিলিগুড়ি শহর।
উত্তর দিনাজপুর : পুরো জেলা।
দক্ষিণ দিনাজপুর : সদর শহর।
মালদা : পুরো জেলা।
মুর্শিদাবাদ : পুরো জেলা।
নদিয়া : পুরো জেলা।
বীরভূম : সব পুরসভা এলাকা।
পশ্চিম বর্ধমান : পুরো জেলা।
পূর্ব বর্ধমান : সদর শহর, কালনা টাউন ও কাটোয়া টাউন।
পুরুলিয়া : সদর শহর।
বাঁকুড়া : সদর শহর, বড়জোড়া টাউন, বিষ্ণুপুর টাউন।
পশ্চিম মেদিনীপুর : সদর শহর, খড়্গপুর টাউন ও ঘাটাল।
ঝাড়গ্রাম : সদর শহর।
পূর্ব মেদিনীপুর : সদর শহর, হলদিয়া, দিঘা, কোলাঘাট ও কাঁথি।
হাওড়া : পুরো জেলা।
হুগলি : সদর শহর, চন্দননগর, কোন্নগর, আরামবাগ, শ্রীরামপুর ও উত্তরপাড়া।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা : ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং, সোনারপুর, বারুইপুর, ভাঙড়, বজবজ, মহেশতলা।
উত্তর ২৪ পরগনা : সল্টলেক, নিউ টাউন-সহ সব পুরসভা এলাকা।
কলকাতা : কলকাতা পুরনিগমের অন্তর্গত সব এলাকা।