শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়ে 'নাগিন ডান্স' করলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বাসের মধ্যে পড়ুয়াদের সঙ্গে তাঁরা হিন্দি চটুল গানে কোমর দুলিয়েছেন। এমনই অভিযোগ উঠল সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইনস্টিটিউশনের (ডে) শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও প্রধান শিক্ষক তপব্রত বসুর দাবি, ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা যাতে এড়ানো যায়, সেদিকে নজর রাখা হবে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়ে যায়। তাতে দেখা যায়, বাসের মধ্যে কয়েকজন মহিলা 'নাগিন, নাগিন' গানে নাচছেন। বকখালিতে শিক্ষামূলক ভ্রমণে যাওয়ার সময় সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইনস্টিটিউশনের (ডে) শিক্ষক-শিক্ষিকারা সেই চটুল গানে কোমর দোলাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের সামনেই বাসে উদ্দাম নাচ শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ভিডিয়োয় পড়ুয়াদেরও দেখা গিয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে পড়ুয়ারা চটুল গানে কোমর দোলাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেইসঙ্গে ভিডিয়োয় স্কুলের জামা পরে থাকা কয়েকজনকে কিছু একটা করতে গিয়েছে। অভিযোগ, পড়ুয়ারা নেশাদ্রব্য ব্যবহার করছিলেন।
ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরই শোরগোল পড়ে যায়। পুরো ঘটনায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। সরব হন স্কুলের প্রাক্তনী এবং অভিভাবকরা। প্রাথমিকভাবে সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইনস্টিটিউশনের (ডে) প্রধান শিক্ষক বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে ভাইরাল ভিডিয়ো দেখার পর তিনি দাবি করেন, ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা যাতে এড়ানো যায়, সেদিকে নজর রাখা হবে। তবে নাচের অংশের যে পড়ুয়াদের ‘নেশা করার’ (একাংশের অভিযোগ) অংশ দেখা গিয়েছে, তা তাঁদের স্কুলের নয় বলে দাবি করেছেন সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইনস্টিটিউশনের (ডে) প্রধান শিক্ষক।