শিক্ষকের সঙ্গে ওয়ার্ডে গিয়ে রোগী দেখবেন প্রথম বর্ষের হোমিওপ্যাথিক শিক্ষার্থীরাও। কলকাতায় অনুষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া হোমিওপ্যাথিক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সেমিনারে এই কথা জানান ন্যাশনাল কমিশন ফর হোমিওপ্যাথির চেয়ারপার্সন চিকিৎসক অনিল খুরানা। এর আগে বিএইচএমএস পাঠ্যক্রমের কেবল মাত্র তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারা রোগী দেখার সুযোগ পেতেন। তবে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম বছর থেকেই রোগীদের দেখে ‘প্র্যাক্টিকাল’ পড়োশানো শুরু করে দেবেন প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা।
এদিকে ন্যাশনাল কমিশন ফর হোমিওপ্যাথির চেয়ারপার্সন চিকিৎসক অনিল খুরানা জানান, বিএইচএমএস-এর প্রথম বর্ষের মেয়াদ বেড়ে হচ্ছে দেড় বছর। এর আগে পাঠ্যক্রমের অন্তিমবর্ষের মেয়াদ দেড় বছর হত। প্রসঙ্গত, দেশে মোট ২৭৫টি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। এই সবকটি কলেজেই নয়া শিক্ষাবর্ষ থেকে এই বদলে যাওয়া নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
ডঃ খুরানা বলেন, ‘প্রতি বছর দেশে নতুন করে ১০টি হোমিওপ্যাথিক কলেজ চালু হচ্ছে।’ তবে তিনি স্বীকার করেন প্রতি শিক্ষাবর্ষে মাত্র পাঁচ হাজার পড়ুয়াকে স্নাতোকত্তরে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেওয়ার সীমা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। উল্লেখ্য, বাংলায় বিএইচএমএস কলেজে ভর্তির জন্য দ্বাদশ শ্রেণির পর পশ্চিমবঙ্গ আয়ুষ নিট ইউজি প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। এই পরীক্ষায় সাধারণ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ ও সংরক্ষিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৪০ শতাংশ নম্বরে পাশ করতে হয়। বাংলায় রাজ্য সরকারের দ্বারা পরিচালিত হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা মাত্র ৪। সেগুলি হল - ক্যালকাটা হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, ডিন এন দে হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, মহেশ ভট্টাচার্য হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল। এছাড়া কেন্দ্র পরিচালিত ন্যাশনাল ইন্সটিউট অফ হোমিওপ্যাথি রয়েছে বাংলায়। তাছাড়া আরও আটটি বেসরকারি হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ আছে রাজ্যে।