পূর্ব ঘোষণা মতো মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ হাইকোর্টে আসেন বিচারপতি। কিছুক্ষণ পর জিপিওর উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। ১০টা ৩৫-এ জিপিও পৌঁছন তিনি সেখান থেকেই ইস্তফাপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেন।
হাইকোর্টে এসে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের সঙ্গে দেখা করতে যান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকেও তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ২টো ৪৭ মিনিটে এজলাস ছাড়েন বিচারপতি। সেই সময় শেষবার তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য বহু মানুষ এজলাসে ছুটে আসেন। তাঁদের কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন কেউ আবার পা ছুঁয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যান। একজন তো আকুতির সুরে বলেন, ‘আপনি চলে গেলে কী হবে আমাদের?’ যদিও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান যে তাঁর যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। তাঁর জায়গায় অন্য কোনও বিচারপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। যিনি মামলাকারীদের সুরাহা দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আইনজীবীদের কেউ কেউ তাঁকে হাইকোর্ট ছাড়তে বারণ করেন।
আরও পড়ুন। শেষ দিনে জেলা বিচারকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আর্জি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
বুধবার দুপুর ২টোয় নিজের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তিনি। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, হাইকোর্ট চত্ত্বরে সূর্য সেন মূর্তির পাদদেশ দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদল করে সল্টলেকে নিজের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করবেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন। ‘যাবতীয় মামলা খারিজ করা হোক’, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব কল্যাণ
এসএসসি মামলা অনেক আগেই তাঁর এজলাস থেকে সরানো হয়েছে। তবে ৬২ টি মামলা তাঁর কাছে হার্ড ইন পার্ট হিসেবে ছিল। এদিন সেই মামলাগুলি তিনি রিলিজ করে দেন। সব শেষে এদিন প্রাইমারি স্কুল সংক্রান্ত একটি মামলায় তমলুকের ওই প্রাক্তন জেলা বিচারকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলাটিই ছিল তাঁর শেষ মামলা।
আরও পড়ুন। আরও ২জন তৈরি, আসন খুঁজছেন,’ আদালতেই বিচারপতি গাঙ্গুলি প্রসঙ্গ টেনে বললেন কল্যাণ