আনন্দপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছিলেন তরুণী। অথচ গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে গেলেন না। অন্যদিকে, ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবক পাল্টা অপহরণের অভিযোগ জানিয়েছে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সেক্ষেত্রে অভিযোগকারী আদৌও কি গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন? তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে তদন্তকারীদের মধ্যে। একইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: গোয়াতে নাবালিকা ধর্ষণের সংখ্য়া সবথেকে বেশি, উদ্বেগের ছবি NCRB রিপোর্টে
জানা গিয়েছে, বুধবার ওই তরুণীর আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি আদালতে যাননি। এই অবস্থায় ধর্ষণের অভিযোগ জানানোর পরে কেন তরুণী নিখোঁজ হয়ে গেলেন? পুলিশই বা কেন তার খোঁজ পেল না? তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের গাড়িচালকের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে গাড়ি চালক প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকতে পারে। আবার অভিযুক্ত যুবক পালটা যখন অপহরণের জানাল সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে করা হল না? সেক্ষেত্রে উঠে আসছে প্রভাবশালী তত্ত্ব। যদিও পুলিশের বক্তব্য, অভিযুক্ত যুবককে অপহরণ করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার একটি লিখিত অভিযোগ মেলে। তখন তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ফ্ল্যাটের মধ্যে বন্দি রয়েছে এক যুবক এবং তার সঙ্গী। সেখানে হানা দিয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার পরে এই মামলায় অন্য মাত্রা যুক্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আনন্দপুরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল গত সোমবার রাতে। ওই তরুণীকে একটি গাড়িতে ডেকে বেহুশ করে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তরুণীর আরও অভিযোগ ওই যুবক নিজেকে রাজনৈতিক প্রভাবশালী বলে হুমকি দিয়েছিল। জানা গিয়েছে ওই তরুণী প্রথমে যুবকের সঙ্গে দেখা করতে চাননি। পরে তাকে মডেলিং এবং অভিনয়ে নামানোর প্রলোভন দেখায়। মূলত একটি চুক্তি করানোর নামে তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এরপর যুবক তাকে নিউ গড়িয়া থেকে নিজের গাড়িতে তোলে । তরুণীকে সে জানিয়েছিল ফটোশুট করা হবে। গাড়ি নিয়ে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর আনন্দপুর থানা এলাকায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে পানীয়র সঙ্গে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে মুকুন্দপুর এলাকায় নামিয়ে পালিয়ে যায় যুবক।
এই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ তদন্ত নামে। ঘটনার ভিত্তিতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্তের সঙ্গে চলচ্চিত্র জগতের যোগাযোগ হয়েছে। এদিকে, বুধবার যুবককে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করে বিজেপির মহিলা মোর্চা সদস্যরা। এই অবস্থায় অভিযোগ পালটা অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।