বাংলার রাজনীতিতে বিগত কয়েক বছর ধরে প্রবেশ ঘটেছে 'ধর্মের'। আর তাতে 'লাভবান' হয়েছে তৃণমূল থেকে বিজেপি। বিশ্লেষকদের মতে, মেরুকরণের রাজনীতির ফলে রাজ্যের মুসলিম ভোট একজোট হয়ে তৃণমূলের ঝুলিতে ঢুকেছে। এদিকে বহু জায়গায় মেরুকরণের রাজনীতির ফায়দা নিয়ে বিজেপিও পদ্ম ফুটিয়েছে। এই আবহে বারংবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'তুষ্টিকরণের রাজনীতি' নিয়ে তোপ দেগে এসেছে বিজেপি। সংখ্যালঘু মুসলিম তোষণের পাশাপাশি হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগও তোলা হয়েছে মমতার বিরুদ্ধে। আর আবারও সেই ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতি এবং হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগ আনা হল মমতার বিরুদ্ধে। আর তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমজদার।
গতরাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ভিডিয়ো নিজের 'এক্স' (পূর্বতন টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেন সুকান্ত। সেখানে দেখা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি শিবমন্দিরে পুজো দিচ্ছেন। আর সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেই সুকান্ত অভিযোগ করেছেন, মহাদেবকে অপমান করেছেন মমতা। হিন্দুদের ভাবাবেগে নাকি আঘাত হেনেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পোস্টে সুকান্ত লেখেন, ‘তিনি যেভাবে ফুল মহাদেবের দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তাতে এটা স্পষ্ট যে তিনি পুজো করায় বিশ্বাসী নন। পুজো করার সময় তাঁর ভাব ভঙ্গিমায় কোনও ভক্তির প্রতিফলন নেই। আপনি তাহলে কেন পুজো বাধ্য হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? মহাদেবকে এভাবে অপমান করে কি আপনি আপনার ভোট ব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতে চান?’
উল্লেখ্য, সুকান্তর পোস্ট করা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, মমতা মন্দিরে প্রবেশ করছেন। একজন শিড়িতে মোবাইলের টর্চ জ্বেলে ধরে ছিলেন। তারপর মমতা মন্দিরে প্রবেশ করলে পুরোহিতদের নির্দেশ অনুযায়ী ফুল-পাতা-মালা দিতে থাকেন শিব ঠাকুরের ওপর। এদিকে মমতার জন্য সেখানে একটি আসন পাতা ছিল। তবে সম্প্রতি তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাই তাঁর জন্য বসা সম্ভব ছিল না। এই আবহে আশেপাশেপ পুরোহিতরা চেয়ারের ব্যবস্থা করার কথা বলেন। তবে মমতাকে তখন বলতে শোনা যায়, 'আমি দাঁড়িয়েই পুজো দেব। চেয়ারের প্রয়োজন নেই।' এদিকে মন্দিরের শিবলিঙ্গটি অনেকটাই নীচে ছিল। এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেকটা ওপর থেকেই সেই ফুল ,বেল পাতা দিতে হয়। সেই ঘটনাকেই তুলে ধরে সুকান্ত অভিযোহ করেছেন, মমতা মহাদেবকে অপমান করেছেন এবং তিনি পুজো দেওয়ায় বিশ্বাস করেন না।