টপ-অর্ডার ব্যাটার বি সাই সুদর্শন ২০২৩ সালে বেশ ঝকঝকে পারফরম্যান্স করেছে। তিনি আইপিএল ফাইনালে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে ৪৭ বলে ৯৬ রান করেছিলেন। ইমার্জিং এশিয়া কাপে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের সঙ্গে চুক্তি করেন। এবং দুটি প্রথম-শ্রেণীর ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাও লাভ করেন। সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আবার ইরানি কাপ টাইয়ে উভয় ইনিংসেই অবশিষ্ট ভারতের হয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
এতেই যদি বছরের ইতি টানতেন সুদর্শন, তবে আলাদা বিষয় ছিল। কিন্তু তিনি এটুকুতেই থামেননি। গত সপ্তাহে ২২ বছর বয়সী সুদর্শনকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওডিআই সিরিজের দলে নেওয়া হয়েছে। এই প্রথম বার তিনি জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। ১৭, ১৯ এবং ২১ ডিসেম্বর জোহানেসবার্গ, গেবেরহা এবং পার্লে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: পঞ্জাবের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি অনুষ্টুপের, ভাঙলেন সৌরভের নজির, জিতে নকআউটে বাংলা
আর জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে সুদর্শন একেবারে উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেছেন, ‘আসলে আমরা বিজয় হাজারে ট্রফি খেলছি। তাই, আমি এই টুর্নামেন্টে ফোকাস করছিলাম এবং ভারতের ডাক পাওয়ার কথা ভাবিনি। এটি একটি আশ্চর্যজনক বিষয়। তবে আমি সত্যিই খুব খুশি।’
১১টি প্রথম-শ্রেণীর ম্যাচে তিনি দু'টি সেঞ্চুরি এবং তিনটি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। ৪৩.৬৩ গড়ে ৮২৯ রান করেছেন সুদর্শন। ঘরোয়া ৫০-ওভারের ক্রিকেট তাঁর পারফরম্যান্স আরও ভাল। ২৪ ম্যাচে ৬০ ছুঁইছুঁই গড়ে ১২৬৯ রান করেছেন।
সুদর্শন বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় এটাই আমি প্রথম বার খেলছি। আমি শুনেছি ভালো গতি ও বাউন্স থাকবে। আমি শুধু এর জন্য প্রস্তুত হব এবং আশা করি ওখানে গিয়ে ভালো ভাবে অনুশীলন করতে পারব। আমি মনে করি না, খুব বেশি পরিবর্তন হবে। সেখানে গিয়ে পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নেওয়াটাই একমাত্র চিন্তা আমার আছে। আমি চ্যালেঞ্জটি পেয়ে উত্তেজিত, প্রথমত দেশের হয়ে খেলতে। তার পর আবার বিদেশ সফরে যেতে।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি পেস এবং বাউন্সের বিরুদ্ধে খেলা উপভোগ করি। যখন গতি থাকে, তখন তা রোমাঞ্চকর। এই ধরনের গতির বিরুদ্ধে ব্যাট করাটা আনন্দের কারণ ব্যাট করে খুব ভালো অনুভূতি হয়।’
সারের হয়ে দুটি প্রথম-শ্রেণীর ম্যাচ খেলে ইংল্যান্ডের পরিস্থিতির কিছুটা হলেও অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছেন। সুদর্শন আশা করছেন যে, সারের হয়ে খেলাটা তাঁকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলির জন্য প্লাস পয়েন্ট হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘এটি একটি ভিন্ন সংস্কৃতি ছিল। সেই কন্ডিশনের এক্সপোজারের কারণে ব্যাটিংও ভালো হচ্ছে। সেখানে অভ্যস্ত হওয়াটাও একটা মজার ব্যাপার ছিল। আমি সেখানে গিয়ে (ইংল্যান্ডে) মানিয়ে নেওয়ার যে সুযোগ পেয়েছি, তা আমাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় সাহায্য করবে।’