LIVE: শিলিগুড়ি থেকে বিধাননগর - সবুজ ঝড়ে উড়ল বিরোধীরা,২ পুরনিগমে 'সেকেন্ড' বাম
Updated: 14 Feb 2022, 05:06 PM ISTবিক্ষিপ্ত হিংসার মধ্যে গত শনিবার চারটি পুরনিগমে ভোট হয়েছিল।
বিক্ষিপ্ত হিংসার মধ্যে গত শনিবার চারটি পুরনিগমে ভোট হয়েছিল।
কলকাতা পুরনিগমে ঘাসফুল ফুটেছে। রাজ্যের আরও চারটি পুরনিগমে (শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগর) কোন দল বোর্ড গঠন করবে, সেই উত্তর মিলবে আজ (সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি)। বিক্ষিপ্ত হিংসার মধ্যে গত শনিবার ওই চারটি পুরনিগমে ভোট হয়েছিল। দু'দিনের মাথায় প্রকাশিত হতে চলেছে ভোটের ফলাফল। সেজন্য স্ট্রংরুম ও গণনা কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। গণনাকেন্দ্রের বাইরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় আছে। মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র এবং লাঠিধারী পুলিশ। গণনাকেন্দ্রের বাইরে আছে আরটি মোবাইল ভ্যান, কুইক রেসপন্স টিম আছে।
আসানসোলেও কেন এঁটে উঠতে পারল না বিজেপি? ভোট বিশ্লেষণে নয়া তথ্য -- আরও পড়ুন এখানে।
আসানসোল পুরনিগমের ১০৬ টি ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করা হল। ৯১ টি আসনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাতটি আসনে জিতেছে বিজেপি। দুটি আসনে জিতেছে বাম। কংগ্রেস জিতেছে তিনটি আসনে। বাকি দুটি গিয়েছে নির্দল প্রার্থীদের ঝুলিতে।
তৃণমূল কংগ্রেস - ৫৯ শতাংশ। বিজেপি - ১০ শতাংশ। বাম - ২৭ শতাংশ। কংগ্রেস - দুই শতাংশ। অন্যান্য - দুই শতাংশ।
তৃণমূল কংগ্রেস - ৪৭ শতাংশ। বিজেপি - ২৩ শতাংশ। বাম - ১৮ শতাংশ। কংগ্রেস - পাঁচ শতাংশ। অন্যান্য - ছয় শতাংশ।
তৃণমূল কংগ্রেস - ৬৪ শতাংশ। বিজেপি - ১৭ শতাংশ। বাম - ১১ শতাংশ। কংগ্রেস - চার শতাংশ। অন্যান্য - তিন শতাংশ।
তৃণমূল কংগ্রেস - ৭৪ শতাংশ। বিজেপি - আট শতাংশ। বাম - ১১ শতাংশ। কংগ্রেস - তিন শতাংশ। অন্যান্য - তিন শতাংশ।
তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চার পুরনিগমে জয়ের জন্য দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে আমজনতাকে ধন্যবাদ জানালেন। তিনি বলেন, 'সবুজায়ন, শিল্প, শ্রমিক-কৃষকদের, সর্বধর্ম সমন্বয়, সংস্কৃতি-সম্প্রীতির কাজ করে তুলব। যত জিতব, তত নম্র থাকতে হবে। আগামিদিনে আমার লক্ষ্য হল শিল্প। কর্মসংস্থান তৈরি করা। এই জয় মানুষের জয়।'
টসে জিতে কাউন্সিলর হলেন তৃণমূল প্রার্থী আশা প্রসাদ। হেরে গেলেন বাম প্রার্থী। ঘটনাটি আসানসোল ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। কেন টস হল? পড়ুন এখানে।
পুরভোটে বিজেপির ভরাডুবি। তা নিয়ে বিজেপির একাংশকে তীব্র কটাক্ষ করলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। বললেন, ‘অসহায় মজুমদার (সুকান্ত মজুমদার)। ভার্চুয়াল চক্রবর্তী (অমিতাভ চক্রবর্তী)। টুইটার মালবিয়া (অমিত মালবিয়া)।’ তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসের কথা বলে পার পাওয়া যাবে। এই পরাজয়ের দায় নিয়ে কে পদত্যাগ করবেন? সন্ত্রাসকে পরাজিত করার দিশা নেই।’
‘ভালো জীবনসঙ্গী পেয়েছি’, ভ্যালেন্টাইনস দিবসে ভোটে জিতে স্বামীর প্রশংসা চৈতালির – বিস্তারিত পড়ুন স্টোরিতে
বিধাননগর পুরনিগমের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী মমতা মণ্ডল। জয়ের পরই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বিস্তারিত দেখুন ভিডিয়োয় -
মোট আসন ৪৭। তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে ৩৭ টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে পাঁচটি আসন এসেছে। চারটি আসন পেয়েছে বামেরা। কংগ্রেসের দখলে এসেছে একটি আসন। বিজেপি জিতেছে ৪, ৫, ৮, ৯ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। বামেদের দখলে এসেছে ১৯, ২২, ২৯ এবং ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছে কংগ্রেস। ১,২,৩,৬, ৭, ১০, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৭, ১৮, ২০, ২১, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৬, ৪৭ ওয়ার্ডে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এখনও বিধাননগরে তৃণমূলের পক্ষে ভোট পড়েছে ৭২ শতাংশ। বামেদের পক্ষে পড়েছে ১০.৫ শতাংশ। বিজেপি পেয়েছে ৮.৫ শতাংশের মতো ভোট।
শিলিগুড়ির মেয়র হচ্ছেন গৌতম দেব। এবিপি আনন্দে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, বামেদের সরিয়ে দিয়ে তৃণমূল পুরবোর্ড গঠন করতে চলায় পুরস্কার দিলেন মমতা।
চার পুরনিগমের ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের বিজেপির।
বিধানসভা ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। পুরভোটেও হেরে গেলেন বাম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য। ছয় নম্বর ওয়ার্ডে ৩০০ ভোটে হেরে গেলেন।
প্রাথমিক ট্রেন্ড আসতে শুরু করেছে বিধাননগরের। ৩৯ টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল। একটি করে আসনে এগিয়ে কংগ্রেস এবং নির্দল প্রার্থীরা। তারইমধ্যে তাসা বাজিয়ে উচ্ছ্বাস তৃণমূল। দেখুন ভিডিয়োয় -
শিলিগুড়িতে ৩৪ টি ওয়ার্ডের প্রাথমিক ট্রেন্ড সামনে এসেছে। ৩১ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে বা জয়ী তৃণমূল। দুটি ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি। একটি ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস। ২০১১ সালে ‘পরিবর্তনের’ পর এককভাবে প্রথমবার শিলিগুড়ি বোর্ড গঠনের পথে তৃণমূল কংগ্রেস।
আসানসোল পুরনিগম: ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি তথা বর্তমানে বিজেপি নেতার স্ত্রী চৈতালি জয়ী। ৩,৩৩০ ভোটে জিতেছেন।
আসানসোল পুরনিগম: ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূলে ফেরার সময় রাস্তায় নেমেছিলেন।
আপাতত ১২৩ টি ওয়ার্ডের প্রাথমিক ট্রেন্ড সামনে এসেছে। তাতে একটি মাত্র আসনে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ১১৭ টি আসনে এগিয়ে বা জয়ী হয়েছে তৃণমূল। একটি আসনে জিতেছে কংগ্রেস।
চন্দননগর পুরনিগম: ১৮ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল। দুটি ওয়ার্ডে এগিয়ে বাম।
আসানসোলের ৫০ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয় রাউন্ড শেষে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত ১,১০০ ভোটে এগিয়ে।
শিলিগুড়ি পুরনিগম: ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী অভয়া বসু এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী লক্ষ্মী পাল জিতলেন। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় ঘটক।
বিধাননগরে ১২ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। ৩১ নম্বরে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে কৃষ্ণা চক্রবর্তী। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে বাম।
বিধাননগরে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বাম প্রার্থী এগিয়ে। চন্দননগরে তিন ও ছয় নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে বামেরা।
গৌতম দেবের আশা নিয়ে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক তথা ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শংকর ঘোষের কটাক্ষ, তৃণমূল-বিরোধী বোর্ডকে অনেকবার মহানন্দায় ফেলে দেবেন বলেছেন। কিন্তু মহানন্দায় যা দুর্নীতি, তাতে ফেলতে পারেননি। অশোক ভট্টাচার্য ভোটে জয়ের বিষয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে শংকরের কটাক্ষ, ‘সবাই আশা করতে পারেন। অশোকবাবুর জানা উচিত যে তিনি ৬০,০০০-এর বেশি ভোটে হেরেছেন। বিধানসভায় ৩৭ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিলাম। সন্ত্রাস সত্ত্বেও ৩০ টি ওয়ার্ডে জিতব।’
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৩ নম্বর প্রার্থী তথা প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, 'ভালো হবে। পুরো আশাবাদী।'
আসানসোল পুরনিগম: প্রাথমিক ট্রেন্ডে ২৪,২৫,২৬, ২৭, ২৮ এবং ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল। পোস্টাল ব্যালট গণনা চলছে।
চন্দননগরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রাম চক্রবর্তী: রেকর্ড ভোটে জিতব এবার। ২০১৮ সালের অগস্টে বোর্ড ভেঙে যাওয়া কোনও ফ্যাক্টর নেই। দ্বিতীয় স্থানের লড়াই চলছে।
চার পুরনিগমের গণনা শুরু হল। সেজন্য কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
চারটি পুরনিগমের ২২৬ টি ওয়ার্ডে গণনা হবে। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে আছে সিসিটিভি। গণনাকেন্দ্র থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বিধাননগর পুরনিগম: ২০১৫ সালের পুরভোটে ৩৭ টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল। দুটি করে আসনে জয়লাভ করেছিল বাম এবং কংগ্রেস। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের নিরিখে ৩১ টি আসনে এগিয়েছিল তৃণমূল। বিজেপির লিড ছিল ১০ টি আসনে।
ভোটের ফলাফল গণনার আগে রাতের অন্ধকারে সিসিটিভি বন্ধ করে স্ট্রং রুমের ভিতরে লোক ঢোকানোর অভিযোগ উঠল আসানসোলে। তা নিয়ে আসানসোলের ধাদকা পলিটেকনিক কলেজের স্ট্রং রুমের সামনে বিরোধীদের বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি চার্জপুলিশের।
পুরভোটের ফলাফল ঘিরে অ্যাসিড টেস্ট চন্দননগরে, ফোকাসে 'ফুল' যুদ্ধ - ভোটের ফলাফলের লাইভ আপডেট দেখুন এখানে।
চন্দননগর পুরনিগম: ২৩ টি ওয়ার্ডে জিতেছিল ঘাসফুল শিবির। সাতটি ওয়ার্ডে জিতেছিলেন বাম প্রার্থীরা। দুটি আসন গিয়েছিল নির্দলদের ঝুলিতে। একটি আসনে জিতেছিল বিজেপি। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ঝড় উঠেছিল। ৩১ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল ঘাসফুল শিবির। দুটি আসনে লিড ছিল বিজেপির।
আসানসোল পুরনিগমে মোট আসন সংখ্যা ১০৬। ২০১৫ সালের পুরভোটে ৭৪ টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল। আটটি আসনে ফুটেছিল বিজেপির পদ্মফুল। ১৭ টি আসন গিয়েছিল বামফ্রন্টের দখলে। কংগ্রেস এবং নির্দলের ঝুলিতে গিয়েছিল যথাক্রমে তিনটি এবং চারটি আসন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের নিরিখে ৪০ টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল। ৬৬ আসনে এগিয়ে বিজেপি।
শিলিগুড়ি পুরনিগম (৪৭ ওয়ার্ড): ২০১৫ সালের পুরভোটে বাম জিতেছিল ২৩ টি আসনে। তৃণমূলের দখলে ১৭ টি আসন গিয়েছিল। দুটি আসনে জিতেছিল বিজেপি। চারটি আসনে জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস। একটি আসনে জিতেছিলেন নির্দল প্রার্থী। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের নিরিখে ৩৬ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ১০ টি ওয়ার্ডে লিড ছিল তৃণমূলের। একটি ওয়ার্ডে বামেদের লিড ছিল।
শিলিগুড়িতে অশোক ম্যাজিকে কি উড়বে লাল আবির? নাকি বাজিমাত তৃণমূল বা বিজেপির? – ভোটের ফলাফলের লাইভ আপডেট দেখুন এখানে।
কলকাতা পুরনিগমে ঘাসফুল ফুটেছে। রাজ্যের আরও চারটি পুরনিগমে (শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগর) কোন দল বোর্ড গঠন করবে, সেই উত্তর মিলবে আজ (সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি)। বিক্ষিপ্ত হিংসার মধ্যে গত শনিবার ওই চারটি পুরনিগমে ভোট হয়েছিল। দু'দিনের মাথায় প্রকাশিত হতে চলেছে ভোটের ফলাফল। সেজন্য স্ট্রংরুম ও গণনা কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। গণনাকেন্দ্রের বাইরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় আছে। মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র এবং লাঠিধারী পুলিশ। গণনাকেন্দ্রের বাইরে আছে আরটি মোবাইল ভ্যান, কুইক রেসপন্স টিম আছে।