বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেটা অনুযায়ী, আগামী ৮ জুলাই হবে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ঠিক করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু বিজেপি হিংসার তথ্য সামনে নিয়ে আসে কলকাতা হাইকোর্টে। তা নিয়ে মামলাও হয়। এই হিংসার জেরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যায়নি বলে জানানো হয়। তাই আজ, শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা বসিরহাটের ৬০ জন বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন।
আজ বিজেপির আবেদন ছিল, মনোনয়নপত্র জমার সময়সীমা বাড়ানো। তাই আজ প্রার্থীদের মনোনয়নের দিন বাড়ানো নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অবস্থান জানতে চান বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তারপরে দুপুরে শুনানির সময় বিচারপতি নির্দেশ দেন, এই প্রার্থীরা শুক্রবার বিকেল ৪টের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। আর একই সঙ্গে তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বসিরহাট জেলা পুলিশের সুপার। আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, এসকর্ট করে ভাঙড়, ক্যানিং, কাশীপুর, বসিরহাট–সহ বিভিন্ন এলাকার প্রার্থীদের মনোনয়ন কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে হবে। কিন্তু সেটা বাস্তবে সবটা হয়ে ওঠেনি বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে আজ শুক্রবার শুনানি শেষে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, ‘যাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি, তাঁদের পর্যাপ্ত পুলিশের নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বসিরহাটের পুলিশ সুপার এবং বসিরহাটের সাব ডিভিশনাল অফিসারের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র জমা করবেন বিজেপি প্রার্থীরা।’ বসিরহাটের চারটি ব্লক— সন্দেশখালি–১ এবং ২, মিনাখাঁ, ন্যাজাট ও হাড়োয়ার ৬০ জন প্রার্থীর জন্য মনোনয়ন জমার সময়সীমা বাড়ানো হল।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু আজ, শুক্রবার সেই পুনর্বিবেচনার আর্জি প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতিকে এই আর্জি প্রত্যাহারের কথা জানান রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রত্যাহারের আর্জি শুনে তখন তা মঞ্জুর করেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্ট যা নির্দেশ দিয়েছে তা কার্যকর করা হবে।’ গতকাল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শিক্ষাবন্ধু ও ভলান্টিয়ারদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা একদিন বাড়াতে হবে।