উৎপল পরাশর
নানা জল্পনা চলছিল। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান। অসমে অন্তত ১২জন প্রার্থী নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রার্থী তালিকা দেখে এটা বোঝা যাচ্ছে যে যে এমপিরা রয়েছেন তাদের সঙ্গে একটা ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে।তবে এখনও পর্যন্ত দুটি আসনে নাম ঘোষণা করেনি দল। তার মধ্য়ে একটি অসম জাতীয় পরিষদের জন্য ছেড়ে রাখা হয়েছে। ১৬ দলের যে বিরোধী জোট রয়েছে মানে ইউনাইটেড অপোজিশন ফোরাম তারই অন্য়তম হল এই এজেপি।
অসম কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন কুমার বোরাহ জানিয়েছেন, অসমে আমাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আমাদের তালিকা নিয়ে বেশ কনফিডেন্ট। বিজেপি ও তাদের জোটপ্রার্থীরা যেখানে দাঁড়িয়েছেন তাদের পরাজিত করব আমরা।
২০১৯ সালে বিজেপি ১৪টি আসনের মধ্য়ে ৯টি আসনে জিতেছিল। কিন্তু কংগ্রেস পেয়েছিল তিনটি আসন। অপর দুটি আসন জিতেছিল AIUDF।
সেবার কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন গৌরব গগৈ, প্রদ্যুৎ বরদলই ও আব্দুল খালেক। ফের নওগাঁও থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে বরদলইকে।জোরহাট আসন থেকে জিতবেন গগৈ। গত বছর আসন পুনর্বিন্যাসের জেরে এটা হয়।
প্রদ্যোৎ বরদলই জানিয়েছেন, আমি খুশি যে কংগ্রেস নেতৃত্ব আমার উপর আবার বিশ্বাস রেখেছেন। ফের দ্বিতীয়বারের জন্য নওগাঁও আসন থেকে আমায় টিকিট দেওয়া হয়েছে।
তবে বরপেটার এমপি আব্দুল খালেককে টিকিট দেয়নি কংগ্রেস। সেই আসনে দীপ বায়ানকে সেখান থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। অসমের সেবাদলের প্রেসিডেন্ট তিনি। এদিকে সূত্রের খবর, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে তাঁকে জানিয়া আসন থেকে প্রার্থী করা হতে পারে।
সামাগুড়ি থেকে প্রার্থী করা হয়েছে রাকিবুল হুসেনকে। তিনি প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক।
অন্যদিকে অপর যাদের টিকিট দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন, কোকড়াঝাড় থেকে গর্জন মাসাহারি, দারাং-উদলগিরি মাধব রাজবংশী, গুয়াহাটি থেকে দাঁড়াচ্ছেন মীরা বরঠাকুর গোস্বামী, জয়রাম ইংলেঙ্গ( দিপু), হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী ( করিমগঞ্জ) সুর্যকান্ত সরকার( শিলচর), রোজলাইন তিরকি( কাজিরাঙা), প্রেমলাল গাঞ্জু( শোনিতপুর) ।
এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে অসমে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে দ্বিজেন শর্মা পদ থেকে ইস্তফার আবেদন করে চিঠি পাঠিয়েছেন। ভোটের আগে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকায়।