মঙ্গলবার, ২৭ জুন এলাহাবাদ হাইকোর্ট রীতিমত আদিপুরুষ ছবির নির্মাতাদের তুলোধনা করল। কুরুচিপূর্ণ এবং নিম্নমানের সংলাপ থেকে খারাপ মানের চরিত্রায়ন সবটা নিয়েই সরব হল হাইকোর্ট। দর্শকদের একাংশ রীতিমত ক্ষুব্ধ এই ছবির সংলাপ শুনে। বিশেষ করে যাঁরা রামের ভক্ত, নিয়মিত রাম গাঁথা পাঠ করেন তাঁদের ভীষণই আপত্তিজনক লেগেছে গোটা বিষয়টা। এবার সেই প্রসঙ্গ টেনে আনল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
আদিপুরুষ ছবিটির লেখক মনোজ মুনতাসির শুক্লাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে এমন কুরুচিপূর্ণ সংলাপের জন্য। তাঁকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে যথাযথ উত্তর দেওয়ার জন্য। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটু বিবৃতিতে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে 'এই ছবিতে যে ধরনের সংলাপ ব্যবহৃত হয়েছে সেটা সত্যি ভীষণই উদ্বেগজনক। রামায়ণ আমাদের কাছে ইশ্বর গাঁথার মতোই। অনেকেই বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে রমচরিত মানস গান।'
হাইকোর্টের তরফে এদিন একই সঙ্গে বলা হয় যে নির্মাতাদের নেহাতই ভাগ্য ভালো যে জনতা এখনও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেনি। নিজেদের হাতে আইন তুলে নেয়নি। শান্ত থেকেছে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বেঞ্চের কথায়, 'সবাই শান্ত আছে মানে এখনও চোখ বন্ধ করে থাকবে সবাই এমনটা নয়। এই ধর্মের লোকজন ভীষণই সহিষ্ণু, কিন্তু তাই বলে এভাবে তাঁদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া হবে?'
রামায়ণে কেন কিছু দৃশ্য পূর্ণ বয়স্কদের মতো রাখা হয়েছে সেটা নিয়েও এদিন এলাহাবাদ হাইকোর্ট সওয়াল করে। ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল ছবিটির বিষয়ে কথা বলে হাইকোর্টকে জানান এই ছবিতে যে যে আপত্তিকর সংলাপ ছিল সেগুলো বদলে ফেলা হয়েছে। প্রত্যুত্তরে হাইকোর্টের তরফে বলা হয় 'যাঁরা ছবিটির আগে ডিসক্লেমার দিয়েছেন তাঁরা কি দেশের মানুষকে মূর্খ বলে মনে করেন? রাম, সীতা, হনুমান, লক্ষ্মণ সবাই আছে এদিকে বলছে এটা হনুমান নয়? অদ্ভুত দাবি!'
এই বিতর্কের মাঝে আপাতত মনোজ মুনতাসিরকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে এমন নিম্নরুচির সংলাপ লেখার কারণ জানতে চেয়ে। তাঁকে এক সপ্তাহের সময় দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত ১৬ জুন মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। এখানে রামের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে প্রভাসকে, সীতা হয়েছেন কৃতি শ্যানন এবং লক্ষ্মণ হিসেবে অভিনয় করছেন সানি সিং।