অ্যানিম্যাল-এর ট্রেলার প্রকাশ্যে
বাবা-ছেলের সম্পর্কের জটিল দ্বন্দ্ব এই প্রেক্ষাপটেই সাজানো রণবীর কাপুরের আসন্ন ছবি ‘অ্যানিম্যাল’। কারুর প্রতি অন্ধ ভালোবাসা অনেক সময় আপনাকে বিপথে চালিত করতে পারে, আপনার ভিতরের জন্তুকে সর্বসমক্ষে নিয়ে আসতে পারে, সেটাই এই ঝলকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিদ্যমান। বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এল পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভঙ্গার ‘অ্যানিম্যাল’-এর ট্রেলার। মাত্র সাড়ে তিন মিনিটের এই ঝলকে শিহরণ জাগালেন রণবীর কাপুর।
ছোট থেকে বাবার ভালোবাসার কাঙাল অর্জুন (রণবীরের চরিত্রের নাম)। বাবাই তাঁর সুপারহিরো। অথচ গোটা দিনে বাবা (অনিল কাপুর) ১০ মিনিট সময় দিতে পারে না ছেলেকে। বাবার জন্য মনে মনে যে ভালোবাসা লালন করেছে অর্জুন, তা একটা সময় তাঁকে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত করে তোলে, ঠেলে দেয় অন্ধকার জগতে। মানুষ খুন করতে কোনও কুন্ঠাবোধ নেই তাঁর মধ্যে। ট্রেলারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রক্তের বন্যা বয়েছে। কখনও বন্দুক হাতে তো কখনও কুঠার হাতে মানুষ খুন করে চলেছেন রণবীর।
এর মাঝে আচমকাই বিপত্তি। রণবীরের বাবার উপর গুলি চলাবে শক্রুপক্ষ। জোর গলায় রণবীরের ঘোষণা, ‘আমার বাবা, বলবীর সিং-এর উপর যে গুলি চালিয়েছে আমি নিজের হাতে তার গলা কটাব’। বাবার উপর একটা আঁচড় লাগলে গোটা পৃথিবী জ্বালিয়ে দিতে তৈরি সে। স্ত্রী-র ভালোবাসা, চিন্তা কোনওকিছুই সে জায়গায় ম্যাটার করে না।
রক্তাক্ত অতীত-ভবিষ্যতের সঙ্গে বাবা-ছেলের সম্পর্কের চড়াই-উতরাইয়ের বন্য গল্প ‘অ্যানিম্যাল’। ছবিতে কাপুরনন্দনের যে উগ্র, হিংস্র এবং রক্তস্নাত অবতার ধরা পড়েছে যা দেখে বেশ বেগ পেতে হবে দর্শককে। ট্রেলারের একদম শেষভাগে এন্ট্রি নিলেন ছবির খলনায়ক (রণবীরও আক্ষরিক অর্থে নায়ক নন) ববি দেওল। তিনিও রক্তে মাখামাখি। ট্রেলারের শেষ অংশে এয়ারপোর্টে পরস্পরের সঙ্গে হাতাহাতিতে মেতে রণবীর-ববি। সেখানে রণবীরকে ছাপিয়ে গেলেন ববি।
এই ছবিতে রণবীরের নায়িকা রশ্মিকা মন্দানা। ছবিতে রণবীর-ববির দ্বৈরত দেখতে মুখিয়ে রয়েছে দর্শক। সেন্সর বোর্ড আগেই জানিয়েছে এই ছবি কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। ‘এ’ সার্টিফিকেট পেয়েছে সন্দীপ রেড্ডি ভঙ্গার ছবি। ১লা ডিসেম্বর বক্স অফিসে মুক্তি পাবে এই ছবি।
ভ্যারাইটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রণবীর জানিয়েছেন অ্যানিম্যাল দর্শকদের অন্যরকম অভিজ্ঞতা দেবে। অর্জুন রেড্ডি বা কবীর সিং-এর সঙ্গে কি কোনও মিল রয়েছে তাঁর অভিনীত চরিত্রের? রণবীর বলেন, ‘আমি যে চরিত্রটা তুলে ধরব তা কঠিন এবং আপসহীন’। অভিনেতার কথায়, ‘সন্দীপের নায়কদের যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকে সেগুলোর কিছু অবশ্যই রয়েছে আমার এই চরিত্রেও। এখানে আমার ব্যক্তিত্ব অত্যন্ত কঠিন এবং আপসহীন। কিন্তু ও বাকিদের যে খানিকটা হলেও আলাদা, কারণ এই চরিত্রের মধ্যে কিছু জটিলতা রয়েছে, ওর চারিত্রিক গভীরতার তলটা অনেকটা গাঢ়।’