ক্রিসমাসের আগেই দেব ভক্তদের বড়দিন। ২২ তারিখ মুক্তি পাচ্ছে ‘প্রধান’। সেই ছবির প্রচারেই সম্প্রতি দাদাগিরি-র মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন দেব-সৌমিতৃষারা। ছবির সবচেয়ে সিনিয়র দুই শিল্পী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এবং পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দেখা মিলল সৌরভের গেম শো-এর মঞ্চে। আরও পড়ুন-'এত ভাবলে রাতে ঘুম হবে না', সৌরভের গুগলি শুনে লুকিয়ে পড়ল সৌমিতৃষা, হেসে খুন দেব
সৌরভের ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে এসে তাক লাগালেন ৮৬ পার করা সাবিত্রী। তাঁর প্রাণোচ্ছ্বল মেজাজে আজও মুগ্ধ আপামর বাঙালি। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাকি তাঁর বিয়ের সম্বন্ধ হয়েছিল, দাদাগিরিতে এসেই এ কথা ফাঁস করেছেন ‘সাবুদি’। সাবিত্রী জানান, ‘আমার সঙ্গেও পরাণদার বিয়ের সম্বন্ধ এসেছিল…’। সুন্দরী সাবিত্রীকে বিয়ের সুযোগ কী করে হাতছাড়া করলেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়? ভেবেই অবাক দাদা। লজ্জামাখা হাসি অভিনেতার ঠোঁটে।
অথচ সেই হাসির প্রশংসা করতেই ফের বেফাঁস সাবিত্রী। সৌরভকে বকে দিয়ে বলেন, ‘পরানদার হাসি নিয়ে আদিখ্যেতা করার কিছু নেই। আমার যখনই কাউকে একটু ভালো লেগেছে, তিনদিনের মাথায় শুনলাম তার বউ আছে। বিয়ে আর করা হল না। অনেক চেষ্টা করেছি।’
এটা কি নিছক কাকতালীয়? সৌরভের প্রশ্ন শুনে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন-'বাবাকে বলেছিলাম, বাবা তুমি ৯ মেয়ের বিয়ে দিয়ে গেলে, আমারটা দিলে না কেন। বলল- তুমি ফিল্ম লাইনে গিয়ে অন্যরকম হয়ে গেছো। তোমার বিয়ে আমি দিতে পারব না।' বাবা-মেয়ের এই সমীকরণের কাহিনি শুনে মজা করে সৌরভ প্রশ্ন রাখেন, ‘বাড়িতে কি বাবা আর মেয়ে বন্দুক নিয়ে ঘুরত?’
উত্তম কুমার গিয়েছিলেন আমার বাড়ি, রীতিমতো লুকিয়ে ছিলেন। বাবা লাঠি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। রাত ১০টার পর বাড়িতে কে এসেছে? আমার দিদি গিয়ে বাবার পায়ে ধরছে, আমি গিয়ে বাবার পায়ে ধরছি'। সৌরভ তো হাঁ! বললেন- ‘উত্তম কুমার লুকিয়ে লুকিয়ে যেতেন…ওই সব দেখেই পরাণদা আর যায়নি’।
এখানেই শেষ নয়। সাবিত্রী আরও বলেন,এক দিদির বিয়েতে বাবার হাতে চড় খেয়েছিলেন তিনি। কারণ হিসাবে জানান তাঁর অতি উৎসাহের কথা। যে ছেলে দিদিকে দেখতে এসেছিল, তার বদলে অন্য কেউ কেন বিয়ের মণ্ডপে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল তাঁর মাথায়। সকলে একই কথা জিগ্গেস করছিলেন তিনি। শেষে মেজাজ হারিয়ে বাবা ঠাস চড় কষান তাঁর গালে। আর বলেন-'তোমার এত কী দরকার, যার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে সে বুঝলেই হবে'।
প্রসঙ্গত, প্রধান ছবিতে দেবের ঠাকুমার চরিত্রে অভিনয় করছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। নাতি-ঠাকুমার অফস্ক্রিন বন্ডিংও রীতিমতো নজরকাড়া।