কাঞ্চন-শ্রীময়ীর প্রেমলীলা জারি
সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ট্রেন্ডিং তাঁদের বিয়ে! পরকীয়া বিতর্ক পেরিয়ে এখন মিসেস কাঞ্চন মল্লিক শ্রীময়ী। নামের পাশে জুড়েছেন স্বামীর পদবি। গত ২রা মার্চ দক্ষিণ কলকাতার এক ক্লাবে ধুমধাম করে বিয়ের পর্ব সারেন দুজনে। তারপর থেকেই কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ের ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্য়ালে। ধেয়ে আসছে কটূক্তিও। আরও পড়ুন-‘ভালো থাকার একটাই…’, ‘কচি বউ’ শ্রীময়ীতে মজে কাঞ্চন, কী লিখলেন প্রাক্তন বউ পিঙ্কি?
তবে বিতর্ককে থোড়াই কেয়ার ভালোবাসায় টুইটুম্বর নবদম্পতি। কখনও ২৭ বছরের বড় বরকে কোলে নিয়ে ঘুরছেন শ্রীময়ী, আবার কখনও নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছেন। বাসর রাতে উদ্দাম নাচছেন তো কখনও চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছেন পরস্পরকে। রোম্যান্সে মাখামাখি এই সব মুহূর্ত দেখে ট্রোলের বন্যা ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম জুড়ে। ধেয়ে এসেছে যৌনগন্ধী মন্তব্যও। বিশেষত কাঞ্চনের হাঁটু মুড়ে বসে শ্রীময়ীর হাতে কাঞ্চনের ভাত খাওয়ার দৃশ্য় দেখে তীব্র আক্রমণ। এর মাঝেই বৌভাতের রাতের ছবি দিলেন শ্রীময়ী।
বউভাতে গোলাপি বেনারসিতে সাজলেন শ্রীময়ী। কাঞ্চনের পরনে হলুদ পাঞ্জাবি। ঢেউ খেলানো চুল, সিঁথি রাঙানো কাঞ্চনের নামের সিঁদুরে, গা-ভর্তি সোনার গয়না এক্কেবারে রাজরানি শ্রীময়ী।
আগেই জানিয়েছেন কাঞ্চন তাঁকে কুটোটি নাড়তে দিচ্ছে না! বউয়ের হাত ছবি রান্না করতে গিয়ে কালো হয়ে যায় টেনশন তৃণমূল বিধায়কের। তবুও বউভাতের দিন শ্বশুরবাড়ির লোকজনের জন্য নিজের হাতে মাটন রান্না করেছেন শ্রীময়ী। বউয়ের হাতের পাঁঠার মাংস নাকি কাঞ্চনের ফেবারিট, তাঁর জন্যই তো এতো আয়োজন।
৬ তারিখ হো-চি-মিন সরণির এক ঐতিহ্যবাহী স্থানে বসছে জুটির রিসেপশনের আসর। এদিন বউকে খাস উপহার দেবেন কাঞ্চন। শ্রীময়ীর জন্য প্ল্যাটিনামের রিং কিনেছেন। অন্যদিকে শ্রীময়ীও বরের জন্য হিরে খচিত প্ল্যাটিনামের আংটি কিনেছেন পছন্দ করে। ওইদিন সবার সামনে আংটি বদল সারবেন তাঁরা।
সোশ্যাল মিডিয়া হোক বা টলিগঞ্জের অন্দর, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনটি নাম- কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় কাঞ্চন-পিঙ্কির ডিভোর্সে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়ার খবর সামনে আসে। দু-দিন যেতে না যেতেই জানা যায় আইনি বিয়ে সেরে ফেলেছেন কাঞ্চন- শ্রীময়ী। ২৭ বছরের ছোট শ্রীময়ীর সঙ্গে বিয়ের ছবি সোশ্যালে পোস্ট করে গত রবিবার কাঞ্চন লেখেন, ‘বন্ধু তোমার ভালবাসার স্বপ্নটাকে রেখো, বেঁচে নেবার স্বপ্নটাকে জাপ্টে ধরে থেকো’।
অন্যদিকে মঙ্গলবারই সোশ্য়ালে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন কাঞ্চনের প্রাক্তন পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়। পিঙ্কি জানালেন তাঁর ভালো থাকার ঠিকানা বদলায়নি। ইঙ্গিতপূর্ণ এই পোস্টে কারুর নাম নেননি কাঞ্চনের প্রাক্তন। শুধু লিখেছেন, ‘আধার কার্ডে যাই ঠিকানা থাকুক না কেন, আমি আসলে নিজের মধ্য়ে থাকি, ভালো থাকার একটাই ঠিকানা, যার কোনও শাখা নেই’।