রিভলভার রানি-তে কঙ্গনা আর বীরের চুমু।
কঙ্গনার প্রেম জীবন এর আগেও বহুবার উঠে এসেছে চর্চায়। নিজের প্রাক্তনদের তা সে হৃতিক রোশন হোক বা অধ্যয়ন সুমন, কটাক্ষ করার সুযোগ এলে তা কখনওই ছাড়েন না কুইন-নায়িকা। তবে সম্প্রতি একটা খবর রটে কঙ্গনাকে নিয়ে। যদিও ঘটনাটা বেশ পুরনো। ২০১৪ সালের রিভলভার রানি-র সেটের। যাতে অভিনয় করেছিলেন কঙ্গনা, বীর দাস। তাতে ছিল একটি চুমুর দৃশ্য, আর তা বেশ তীব্র। খবর অনুসারে, বীরকে চুমু খাওয়ার সময় এতটাই সিনে ডুবে গিয়েছিলেন কঙ্গনা যে একটু বেশিই চুমু খেয়ে ফেলেন বীরকে।
‘একটা দৃশ্য দেখানো হয়েছিল কঙ্গনা গ্রেফতার হয়েছেন আর তাকে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর কঙ্গনা পুলিশদের থেকে একটু সময় চেয়ে নিয়ে বীর দাসকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন একটা ঘরে। তারপর গভীরভাবে চুমু খান বীরকে। আর সেই দৃশ্য এতটাই জোরদার ছিল যে বীরের ঠোঁট থেকে রক্ত বেরিয়ে আসে’, এক সোর্স জানান হিন্দুস্তান টাইমসকে। রিভলভার রানি সিনেমায় রাজনীতিবিদ অলকা সিং-এর চরিত্রে ছিলেন কঙ্গনা। আর বীর দাসের চরিত্রের নাম রোহন, যে বলিউডের একজন উঠতি অভিনেতা।
এই খবর চোখ এড়ায়নি কঙ্গনা রানাওয়াতের। আর নিজস্ব ঢঙে জবাবও দিয়েছেন অভিনেত্রী। খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইনস্টা স্টোরিতে লিখলেন, ‘হৃতিক রোশনের পর আমি বেচারা বীর দাসেরও ইজ্জত লুটে নিয়েছি? এটা হল কবে?’ আরও পড়ুন: মৃত্যুর পর উত্তম কুমারকে যোগ্য সম্মান দেয়নি বাম সরকার!মহানায়ককে নিয়ে ক্ষোভ মমতার
আর কঙ্গনার এই ইনস্টা স্টোরি দেখে চোখ কপালে উঠেছে একাংশের। হৃতিক-চ্যাপ্টার ফের টেনে আনতে দেখে প্রমাদ গুনতেও শুরু করেছেন কেউ কেউ। মোটামুটি সকলেই জানেন, কঙ্গনা আর হৃতিকের কিস্সা। একসময় কম কাদা ছোড়াছুড়ি হয়নি বলিউডে।
কঙ্গনা হঠাৎই একদিন হৃতিকের উল্লেখ করেন ‘বোকা প্রাক্তন’ (silly ex) বলে। এরপর জলঘোলা হতেই, ক্ষমা তো চানইনি উল্টে বলে বসেন, ২০১৪ সালে কৃষ ৩-এর সেটে নাকি দুজনের প্রেম শুরু হয়েছিল। তবে সে কথা অস্বীকার করে নেন হৃতিক। কোন সম্পর্ক মানতেই চাননি রাকেশ রোশনের ছেলে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালেই কিন্তু বিয়ে ভেঙেছিল হৃতিকের, ছাড়াছাড়ি হয় সুজন খানের সঙ্গে। ২০১৬ আর ২০১৭ সালে দুজনের মধ্যে চলেছিল আইনি মামলা। তবে বোঝা যায়, ‘প্রাক্তনকে’ এখনও ভুলতে পারেননি তিনি। অন্তত কঙ্গনা তো সুযোগ পেলেই কটাক্ষ করার সুযোগ ছাড়েন না।