Kar Kache Koi Moner Kotha Update: শাশুড়ি তীর্থে যেতে চেয়েছেন সেটা পূরণ করতে এবার নিজের গয়না বন্ধক দিল শিমুল। টাকা জোগাড় করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর কোন ঝামেলায় পড়তে হবে তাকে?
1/5 বিপাশাকে ফোন করে শিমুল জানায় যে সে গয়না বন্ধক দেবে। তার টাকার খুব প্রয়োজন। কিন্তু কেন সেটা খোলসা করে না। তবে এটা জানায় দুপুরে তার শাশুড়ি ঘুমালে বেরোবে আবার ঝটপট ফিরে আসবে। সময়ও ঠিক করে নেয় তারা দুজন। এমন সময় শাশুড়ি তার ঘরে ঢুকলে তড়িঘড়ি ফোন কেটে দেয় শিমুল।
2/5 তার শাশুড়ি ভাবে তার বাপের বাড়ি থেকে ফোন এসেছে। তাই নানা কটূ কথা শোনায় বউকে। বলে কী এত সারাক্ষণ ফোন গজগজ করে, কী এত কথা বলে বাবার বাড়ির সঙ্গে। উত্তরে শিমুল বলে তার বাপের বাড়ির লোকজন যতই তাকে ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাক সে তো শত হলেও মেয়ে তাই তার দায়িত্ব অনেক।
3/5 মা কী করছে, দাদারা কেমন আছে এসব জানতে ইচ্ছে করে বলে জানায় শিমুল। সে তার শাশুড়িকে বলে তিনিও তো বোঝেন এটা। তাঁরও তো দাদারা ছিল। মেয়েদের কত সমস্যা সেটা নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। এরপর শিমুলের শাশুড়ি তাকে খাবার বাড়তে বলে নিজে পুজো দিতে যান। জানান তিনি খেয়ে একটু ঘুমাবেন।
4/5 শাশুড়ি ঘুমিয়ে পড়ার পর শিমুল চুপিচুপি বাড়ি থেকে বেরোয়। বিপাশার সঙ্গে সোনার দোকানে যায়। বলে সে তার বালা বন্ধক দেবে। প্রথম সোনার দোকানে মালিক বলেন ৮০ হাজার টাকার বালার বদলে তিনি মাত্র ৩৫ হাজার দিতে পারবেন। তবে বিপাশা জোর করায় ৪০ হাজার টাকা দেন। কারণ জানতে চাইলে শিমুল বলে এই টাকা দিয়ে সে তার শাশুড়িকে তীর্থে পাঠাবে।
5/5 শিমুলের কথায় রে রে করে ওঠে বিপাশা। বলে যে মানুষ ওকে এত গালি দেয়, কথা শোনায় তাকে বালা বন্ধক দিয়ে তীর্থে পাঠানোর কী দরকার? শিমুল জানায় শত হলেও তিনি ওর শাশুড়ি। আর মানুষটা যে ভালো সেই আভাস পেয়েছে বলেও জানায় শিমুল। একই সঙ্গে কথায় কথায় নিজের প্রেমিকের কথাও বলেন শিমুল।