Oppenheimer on Gita: রবার্ট ওপেনহাইমারের বায়োনিক এই মাসেই মুক্তি পাচ্ছে। পারমাণবিক বোমার জনক ওপেনহাইমার এই বোমা তৈরির জন্য ভগবৎ গীতার আশ্রয় নিয়ে ছিলেন! কেন?
1/5 সালটা ১৯৪৫। ৬ এবং ৯ অগস্ট, মাত্র কদিনের বিরতিতে দুবার কেঁপে উঠেছিল জাপান। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় হিরোশিমা ও নাগাসাকি। মার্কিন পরমানবিক বোমার আঘাতে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল দুই শহর। কিন্তু এই মারণ অস্ত্র কার বানানো জানেন? রবার্ট জে ওপেনহাইমার। এবার তাঁরই বায়োপিক আসছে বড় পর্দায়। আগামী ২১ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি। কিন্তু ছবি মুক্তির আগেই চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
2/5 আদতে কেমন ছিলেন ওপেনহাইমার? ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কেমন মানুষ ছিলেন? কী কী করতেন? সে সব কিছুই ক্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত এই ছবিতে দেখানো হবে। কিন্তু কীভাবে কী দেখানো হবে সেটা ধোঁয়াশা রেখেছেন তিনি। তবে এটুকু স্পষ্ট এই ছবিতে ওপেনহাইমারের বিষয়ে একাধিক একাধিক অজানা তথ্য তুলে ধরা হবে।
3/5 এই বিষয়ে বলে রাখা ভালো, ওপেনহাইমার আদতে নিউ মেক্সিকো শহরের লস আলামোস ল্যাবরেটরির অধিকর্তা ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ঠিক করে পরমাণু বোমা তৈরি করবে। তখনই ম্যানহাটন প্রকল্প নেওয়া হয়। নিয়োগ করা হয় সেই সময়কার সেরা বৈজ্ঞানিকদের। আর এই পরমাণু বোমা বানানোর যে টিম ছিল সেটার নেতৃত্বে দেন ওপেনহাইমার।
4/5 কিন্তু নিজের বানানো এই মারণ অস্ত্র দেখে নিজেই চমকে ওঠেন তিনি। সেই ঘটনার পর তিনি বলেছিলেন, 'আমি মৃত্যু হয়ে এসেছি।' তাঁর সেই কথা আজও লোকমুখে ফেরে। পরবর্তীতে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা এবং ঠান্ডা লড়াই শুরু হয় সেটার বিরোধিতাও করেন তিনি।
5/5 পরবর্তীতে, ১৯৬৫ সালে একটি বক্তব্যে রবার্ট জে ওপেনহাইমার গীতার একটি বাণী উদ্ধৃত করে বলেন 'কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুনকে তাঁর কর্তব্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করান সারথি কৃষ্ণ। অর্জুনকে বিশ্বরূপ দর্শন করান তিনি। বোঝান, আমি সৃষ্টি ও ধ্বংস। এর পর কর্তব্য পালনে আর পিছে হটেননি অর্জুন।' তাঁর এই বক্তব্যের পর ইতিহাসবিদ জেমস এ হিজিয়ার বলেছিলেন এই কাণ্ড, মারণ অস্ত্র বানানোর পর বিবেক দংশনে ভুগছিলেন ওপেনহাইমার, তথা পরমাণু বোমার জনক। সেটা থেকে মুক্তি পেতেই তিনি গীতার আশ্রয় নেন। তার মানে কি তিনি পরমাণু বোমা বানিয়েছিলেন গীতার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই?