দেখতে দেখতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্চালিত শো দিদি নম্বর ওয়ানের ৯টি সিজন হয়ে গিয়েছে। এক একটি সিজন প্রায় দুই আড়াই বছর করে চলে। এটা বাংলার অন্যতম পুরনো রিয়েলিটি শো। আর এখন বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে রচনা ছাড়া এই শো যেন ভাবাই যায় না। কিন্তু এদিন গুরুতর অসুস্থ হয়েও যখন তিনি শোয়ের সঞ্চালনা চালিয়ে গেলেন সেটা দেখে মুগ্ধ হয়ে যান প্রতিযোগীরা।
অসুস্থ দিদি নম্বর ওয়ানের সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিন জি বাংলার তরফে একটি নতুন প্রোমো প্রকাশ্যে আনা হয়। সেখানে দেখা যায় এক অংশগ্রহণকারী সুপর্বা দে বসাক রচনাকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করছেন। তাঁর প্রশংসা করছেন অসুস্থ অবস্থায় শো সঞ্চালনা করার জন্য। তিনি এদিন দিদির উদ্দেশ্যে বলেন, 'মায়ের শরীর খারাপ হলে যেন সংসার চলে না বলে মনে হয়। তেমন তোমার শরীর এতটা খারাপ তা সত্বেও তুমি এসেছ। ঝড় জল বৃষ্টি যাই হোক তুমি প্রত্যেক দিন বিকেল পাঁচটার সময় আমাদের সামনে আসবেই। আর সেই জন্যই তুমি আমার অনুপ্রেরণা। কাজের প্রতি তোমার এই ভালোবাসা আমায় সাহস জোগায়।'
আরও পড়ুন: মাধবী মুখোপাধ্যায়ের কোলের একরত্তি কিন্তু বর্তমানের সুপারস্টার, চিনতে পারলেন অভিনেতাকে?
আরও পড়ুন: মিঠুনকে দেখতে হাসপাতালে দেব, কাবুলিওয়ালার স্বাস্থ্য নিয়ে বললেন, 'চিন্তার কিছু নেই, উনি....'
তাঁর এই কথা শুনে রচনা বলেন, 'ধন্যবাদ। আসলে আমার একটু ঠান্ডা লাগার ধাত আছে। বাইরে এখন খুবই ঠান্ডা তাই এতটা ঠান্ডা লেগে গিয়েছে। তাছাড়া ঠান্ডা গরম ঠান্ডা গরম করে আরও বেশি ঠান্ডা লেগেছে।' রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে তিনি বেজায় অসুস্থ, দাঁড়িয়ে থাকতেও বুঝি বা তাঁর কষ্ট হচ্ছে। ঠান্ডা লেগে চোখ মুখ্য ফুলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: '৩৪ বছর কেটে গিয়েছে, মনে হচ্ছে...' প্রথম ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে গৌরীকে কী উপহার দিয়েছিলেন শাহরুখ?
এরপর তিনি সুপর্বা কাজের কথা জানিয়ে বলেন যে তাঁর সন্তান যখন খুবই ছোট তখন তার যত্নের পাশাপাশি তিনি একা হাতেই সংসারের সব কাজ করেন। একই সঙ্গে তিনি রচনার সঙ্গে তুলনা টেনে বলেন, 'আমরা সবাই দেখেছি তুমি তোমার সন্তানকে বড় করেছ আবার এখানেও এসেছ। আমিও চেষ্টা করব তোমার পথ অনুসরণ করে এগোনোর।' এর উত্তরে সঞ্চালিকা বলেন, 'হ্যাঁ, আমার ছেলে তো দিদি নম্বর ওয়ান চলতে চলতেই বড় হয়ে গেল।' বলেই রচনা হেসে ফেলেন।
দিদি নম্বর ওয়ান প্রসঙ্গে
দিদি নম্বর ওয়ান বাংলার অন্যতম পুরনো রিয়েলিটি শো। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্চালিত এই শো প্রতি সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বিকেল পাঁচটা থেকে সম্প্রচারিত হয়। অন্যদিকে রবিবার রাত আটটা থেকে দেখা যায় এই শো।