বিপদ যেন আর পিছু ছাড়ছে না রুবেল দাসের। প্রথমে নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকের শুটিং করতে গিয়ে পা ভাঙেন তিনি। তারপর আবারও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জানালেন গোটা পুজোটাই তাঁর হাসপাতালের বিছানায় কেটেছে। কিন্তু কী হয়েছে তাঁর? ডেঙ্গি।
রুবেল দাসের পোস্ট
একটু সুস্থ হয়ে শুটিং ফ্লোরে ফিরতে না ফিরতেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকের সৃজন। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আছেন। জানালেন এবার তাঁর গোটা পুজো সেখানেই কেটেছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বেটার হাফ শ্বেতা ভট্টাচার্য।
শ্বেতা আর রুবেল টলিউডের অন্যতম চর্চিত জুটি। তাঁর সম্পর্ক, রসায়ন বারবার ভক্তদের মুগ্ধ করেছে। রুবেলের বিপদে সবসময় তিনি পাশে থেকেছেন। এর আগে যখন অভিনেতার পা ভেঙেছিল তখনও তিনি ঢাল হয়ে তাঁর পিছনে ছিলেন। ভরসা জুগিয়েছিলেন। এবার যখন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে রুবেল হাসপাতালে ভর্তি হন তখনও তিনি নিজে ঠাকুর না দেখে প্রেমিকের সঙ্গে হাসপাতালেই সময় কাটিয়েছেন।
এদিন রুবেল তাঁর অনুরাগীদের শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান। একই সঙ্গে নিজের শারীরিক অবস্থার আপডেট দেন। রুবেল লেখেন, 'শুভ বিজয়া জানাই সকলকে। এবার পুজো আমার কেটেছে ডেঙ্গির সঙ্গে। দ্বিতীয়া থেকে শুরু করে এখনও লড়াই শুধু সুস্থ হওয়া নিয়ে। তবে পরিবার পাশে না থাকলে এই লড়াই অনেক কঠিন ছিল, বিশেষ করে শ্বেতা না থাকলে সুস্থ হওয়া খুবই কঠিন ছিল। আমার জন্যে তুমি নিজে ঠাকুর দর্শন পর্যন্ত করলে না।'
আরও পড়ুন: লালকেল্লায় প্রথম মহিলা হিসেবে রাবণ দহনের সুযোগ অভিনেত্রীর, ইতিহাস গড়তে গিয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট কঙ্গনা!
প্রেমিকার প্রশংসা করে রুবেল জানান শ্বেতা তাঁর জন্য এতটাই করেছেন যে তাঁর মনে হয়েছে স্বয়ং মা দুর্গা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনি দেবীর কাছে না যেতে পারলেও, দেবী তাঁর কাছে ছিলেন। অভিনেতার কথায়, 'সারাদিন আমাকে খাইয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে, ডক্টরের সঙ্গে কথা বলা, আমার ওষুধ, আমার ব্লাড টেস্ট, প্লেটলেট নিয়ে চিন্তা, আমাকে মানসিক শক্তি দেওয়া, আমার প্রত্যেক বিষয়ে খেয়াল রেখেছ তুমি, মনে হল উমা আমার সঙ্গেই ছিল সর্বক্ষণ, তাই আমি এখন সুস্থ। কৃতজ্ঞ তোমার কাছে।'
কে কী লিখেছেন?
অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রুবেলের পোস্টে। কেউ আবার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তাঁর। অভিনেতা সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় লেখেন, 'তুমি যে এখন ভালো আছ জেনে খুশি হলাম। শুভ বিজয়া।' আরেক ব্যক্তি লেখেন, 'শুভ বিজয়া, তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো মায়ের কাছে এই প্রার্থনা করি।' আরেকজন লেখেন, 'এখন কেমন আছ দাদা? দ্রুত সুস্থ হয়ে সেটে ফেরো।'