সোশ্যাল মিডিয়া সরগম কাঞ্চন মল্লিক আর শ্রীময়ী চট্টোরাজের বিয়ের খবর নিয়ে। অসম বয়সের এই বিয়ে নিয়ে কম কটাক্ষ চলছে না চারদিকে। যদিও নতুন জীবন শুরুর আনন্দে মেতে আছেন হবু বর আর কনে। আইনি বিয়েটা হয়েছে ১৪ই ফেব্রুয়ারি। তবে সামাজিক বিয়ে হতে এখনও কিছুটা বাকি আছে। এত আনন্দের মাঝেও শ্রীময়ীর মনে দুঃখ, শ্বশুর-শাশুড়ির ভালোবাসা পাবেন না যে!
শ্রীময়ী নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, একেবারে চমক ছিল এই বিয়েটা তাঁর কাছে। সপরিবারে কাঞ্চনের বাড়িতে নিমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। আর সেখানে পৌঁছতেই চক্ষু চড়কগাছ। কারণ লাল বেলুন, হার্ট শেপে সাজানো হয়েছিল বাড়িটা। আগেভাগেই হবু বউয়ের দাদুর থেকে বিয়ের অনুমতিটা নিয়ে রেখেছিলেন কাঞ্চন। তারপর সকলের সামনে হাঁটু মুড়ে বসে বিয়ের প্রপোজ করেন তৃণমূলের বিধায়ক।
আরও পড়ুন: ডন ৩-এর নায়িকা হলেন কিয়ারা! শাহরুখকে আগেই সরিয়েছেন রণবীর, এবার বাদ প্রিয়াঙ্কাও
একটা লাল শাড়ি উপহারে দিয়েছিলেন। সঙ্গে প্ল্যাটিনামের আংটি। মানে সবকিছু সিনেমার মতো স্পেশাল।
২৭ বছরের ছোট অভিনেত্রীকে বিয়ে করেছেন ৫৩ বছর বয়সী অভিনেতা। দুজনের পরিচয় বহুদিন ধরে। ভালো-খারাপে একে-অপরের হাত তো ছাড়েনইনি, বরং বন্ধন হয়েছে আরও মজবুত। এইসময়কে শ্রীময়ী জানান, প্রথম থেকে এমন পুরুষই চেয়ে এসেছেন যে ম্যাচিওর। সিক্স প্যাক, ফোর প্যাক বা চুলে স্পাইক করা ছেলেদের প্রতি আগ্রহ নেই সেভাবে। তিনি বিশ্বাস করেন, বয়সের ব্যবধানে নিজেদের মধ্যে খুব ভালো বোঝাপড়া থাকে। পরিবার একটু চিন্তিত এটা নিয়ে। তবে তিনি সেসব নিয়ে বেশি ভাবতে রাজি নন।
আরও পড়ুন: ভাইফোঁটা দিতেন উত্তম কুমারকে, প্রয়াত ‘বড় একা লাগে’-খ্য়াত অসীমা মুখোপাধ্যায়
এত ভালোলাগার মাঝেও একটাই আক্ষেপ শ্রীময়ীর। আর সেটা হল, কাঞ্চনের মা-বাবা দুজনেই পরলোকগত হয়েছেন। তাই শ্বশুরবাড়িতে কোনও গার্জেন পাবেন না তিনি। নিজের বাড়িতে সঙ্গ পেয়েছেন ঠাকুমা-দাদু-দিদার। অভিনেতার বাড়িতে দাদা-বউদি-দিদি থাকলেও, মা-বাবা নেই। তাই বড্ড মিস করবেন শ্বশুর-শাশুড়ির জায়গাটা।
আরও পড়ুন: ডাবেও নতুনত্ব, মেনুতে গ্লুটেন-সুগার ফ্রি খাবার, সেজে উঠল জ্যাকি-রকুলের বিয়েবাড়ি
রবিবার রাতেই বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সোমবার আইনি বিয়ের ছবি সোশ্যল মিডিয়ায় পোস্ট করে আসে ভালোবাসা-ভরা দীর্ঘ বার্তা। সাফ জানিয়ে দেন, ‘মিস্টার মল্লিক তুমি শুধু আমারই…’। অভিনেত্রী নিজের বক্তব্যে জুড়ে দেন, 'জীবনে কেবল মাত্র একবার এমন কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে, যিনি আপনার মন ভেজাতে পারবেন, যিনি আপনার পেটে প্রজাপতি অনুভব করাতে পারবেন এবং আপনার হাঁটুজোড়াও কাঁপাতে সক্ষম হবেন। স্নেহ এবং ভালবাসা দিয়ে কারও জীবন বদলে দিচ্ছেন, এ রকম মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ খুবই বিরল।’