রবিবার মধ্যরাতে আইনি বিয়ের এয়লান সেরে ফেলেছেন কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। এখন মিসেস কাঞ্চন মল্লিক শ্রীময়ী। অভিনেত্রীর এটা প্রথম বিয়ে হলেও কাঞ্চনের তিন নম্বর! দুজনের বয়সের ফারাকও বিস্তর। ২৭ বছরের ছোট অভিনেত্রীকে বিয়ে করেছেন ৫৩ বছর বয়সী তৃণমূল বিধায়ক। আরও পড়ুন-'ওশ বাবাকে ক্ষমা করে দিয়েছে', কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ে নিয়ে বিস্ফোরক প্রাক্তন স্ত্রী
দুজনের সম্পর্ক নিয়ে গত তিন বছরে কম কাটাছেঁড়া হয়নি। প্রতিবারই নিজেকে কাঞ্চনের ‘বোন’ কিংবা ‘বন্ধু’ বলেছেন শ্রীময়ী। জানিয়েছেন তাঁদের গুরু-শিষ্যার সম্পর্ক। ভাইয়া থেকে সাঁইয়া হয়েছেন কাঞ্চন, দুজনের কপালেই জুটছে বিস্তর কটাক্ষ। সেই নিয়ে সাফাই পেশ করলেন কাঞ্চনের তৃতীয় বউ।
পিঙ্কির স্বামী থাকাকালীনই শ্রীময়ীর সঙ্গে সম্পর্ক শুরু কাঞ্চনের। তার আগে অভিনেত্রী অনিন্দিতা দাসকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন কাঞ্চন। ২০১০ সালেই ভাঙে প্রথম বিয়ে। জীবনের পিঙ্কি অধ্যায় শেষ করার ২৩ দিনের মধ্যেই শ্রীময়ীকে ঘরণী করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে এই সময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রীময়ী বলেন, ‘সমাজের হয়তো খুব খিল্লি করতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু, যখন কোনও মানুষ সম্পর্ক গড়ে, তখন তো ভাঙার জন্য করে না। সকলেই নিজের সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে চায়। এবার কোনও সম্পর্ক টিকছে না মানেই যে তাঁরা খারাপ তা নয়। হয়তো অনেককিছু ভেবেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেরিয়ে আসার। অনেক মানুষের দুই-তিনটে বিয়ে থাকতে পারে। আমি বা আমার পরিবার অতীত নিয়ে চর্চা করতে পছন্দ করি না। এটা আমার সঙ্গেও হতে পারত। মানুষটা তো তুচ্ছ নয়। নতুনভাবে শুরু করেছি। আমার কাছে তৃতীয়বার-চতুর্থবার কোনও ব্যাপারই না।’
দুজনের বয়সের ফারাক নিয়েও সাফাই দিয়েছেন তিনি। কাঞ্চনের নতুন বউ বলেন, ‘আমার ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ম্যাচিওর রিলেশনশিপে বিশ্বাসী। সিক্স প্যাক, ফোর প্যাক বা চুলে স্পাইক করা কারও সঙ্গে সম্পর্ক করতে চাইনি। আসলে বয়সের ব্যবধানে নিজেদের মধ্যে খুব ভালো বোঝাপড়া থাকে’।
কাঞ্চনকে বিয়ের পর শ্রীময়ীর দুটো আক্ষেপ, আরও আগে কাঞ্চনকে কাছে পেতে চেয়েছিলেন তিনি। আর কাঞ্চনের যদি অভিভাবক থাকত। বাবা-মা'কে হারিয়েছেন অভিনেতা। শ্বশুর-শাশুড়িক নিয়ে সংসার করা হবে না, আক্ষেপ শ্রীময়ীর।
নতুন জীবন চুটিয়ে উপভোগ করছেন অভিনেত্রী। সোমবার আইনি বিয়ে ছবি সোশ্যল মিডিয়ায় পোস্ট করে ভালোবাসায় ইস্তেহার দিয়ে শ্রীময়ী লেখেন, ‘মিস্টার মল্লিক তুমি শুধু আমারই…’। দীর্ঘ পোস্টে অভিনেত্রী মনে কথা লেখেন। 'জীবনে কেবল মাত্র একবার এমন কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে, যিনি আপনার মন ভেজাতে পারবেন, যিনি আপনার পেটে প্রজাপতি অনুভব করাতে পারবেন এবং আপনার হাঁটুজোড়াও কাঁপাতে সক্ষম হবেন। স্নেহ এবং ভালবাসা দিয়ে কারও জীবন বদলে দিচ্ছেন, এ রকম মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ খুবই বিরল।’