সিনেমায় তাঁরা ছিলেন একে অপরের প্রতিপক্ষ। ডি-ডে'র প্রধান ইকবাল শেঠ ওরফে গোল্ডম্যানকে (ঋষি কাপুর) ধরার মিশনে নেমেছিলেন রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইংসের (র) এজেন্ট ওয়ালি খান (ইরফান খান)। কিন্তু সিনেমার গোয়েন্দা-ডনের গণ্ডি ছাড়িয়ে জীবন ধারায় যেন দু'জনেই কোথাও একাত্ম হয়ে গেলেন।
আরও পড়ুন : 'আমার জন্য অপেক্ষা করুন',অনুরাগীদের জন্য ইরফান খানের শেষ বার্তা
বুধবার সকালে মারা যান ইরফান। সেই ঘটনার ক্ষতের মধ্য়েই বুধবার রাতেই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল ঋষি কাপুরকে। রাতেই বলিউডের চিন্টুজির দাদা রণধীর কাপুর জানিয়েছিলেন, 'ওঁর শরীর ভালো নেই'। তখনই অশনি সংকেত মিলেছিল। তারপর বৃহস্পতিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলিউড তারকা। ইরফান খানের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পরেই।
আরও পড়ুন : 'আম্মা আমাকে নিতে এসেছে',একথা বলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ইরফান খান!
আর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভারতের সিনেমার জগতে দুই নক্ষত্রের পতনের পর ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ডি-কোম্পানির সেই দৃশ্যটা বারেবারে মনে করছেন অনুরাগীরা। যে দৃশ্যে একই গাড়িতে বসে ঋষি কাপুর ও ইরফান খান। হাসির আভা লেগেছিল ইরফান খানের মুখে। আর বলিউডের চিন্টুজির মুখ গম্ভীর। হয়তো মনে মনে হাসছিলেন। ভাবছিলেন - গোয়েন্দা আর ডন কি আলাদা থাকতে পারেন?