লবঙ্গের অনেক গুণ। ঠান্ডালাগা, গলাব্যথা, গলা খুসখুস থেকে শুরু করে দাঁতের ব্যথা— অনেক সমস্যাই কমিয়ে দিতে পারে লবঙ্গ তেল। তবে শেষ এখানেই নয়। এই মশলাটি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। কারণ এর বেশ কিছু উপাদান বিভিন্ন ব্যাকটিরিয়া এবং ভাইরাসের আক্রমণ আটকাতে পারে।
এবার আসা যাক লবঙ্গ-তেলের বিষয়ে। কী এই তেল।
কীভাবে বানাবেন লবঙ্গ তেল?
মূলত অলিভ অয়েলের সঙ্গে লবঙ্গ মিশিয়ে এই তেল বানানো হয়। লবঙ্গ গুঁড়ো করে এই তেলে মিশিয়ে নিন। সেটি কাচের পাত্রে সাত দিন জমিয়ে রেখে দিন। তৈরি হয়ে গেল লবঙ্গ তেল।
কী কী উপকার হতে পারে এ থেকে?
- টেস্টোস্টেরন বাড়ে: যে সব পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা খুব কম, তাঁরা এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে বাড়বে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা। যৌনক্ষমতা যাঁদের কম, তাঁরা যৌনস্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন।
- শুক্রাণুর মান ভালো হয়: অনেক পুরুষেরউ শুক্রাণুর মান খারাপ হয়ে যায়। তাঁরা এই তেলের সাহায্য নিতে পারেন। লবঙ্গে অ্যারোমাথেরাপি বাড়িয়ে দেয় শুক্রাণু উৎপাদনের হার।
- ধূমপানের আগ্রহ কমায়: ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে চান? তাহলে ঘরে এই তেল ব্যবহার করুন। এটি ধূমপানের আগ্রহ কমিয়ে দেবে।
- ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করে: যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, তাঁরা এই তেলের ব্যবহার করলে সেই সমস্যা কমতে পারে। ডায়াবিটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে এই তেলের ব্যবহারে।
- রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে: মরশুম বদলের সময়ে অনেকেরই জ্বর, ঠান্ডালাগার সমস্যা হয়। তাঁরা এই তেলের ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সমস্যা কমবে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন এই তেল?
লবঙ্গের উপকার পাওয়ার জন্য সেটি খেতে হয়। কিন্তু লবঙ্গ-তেলের সুবাস নাকে ঢুকলেই অনেক উপকার পাওয়া যায়। একটি বাটিতে এই তেল অল্প পরিমাণে নিয়ে ঘরে রেখে দিতে পারেন। তার সুবাস ঘরে ছড়িয়ে যাবে। কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ-তেল লাগিয়ে দিতে পারেন পর্দাতেও। তাতেও কাজ হবে। সবচেয়ে ভালো হবে, যদি বাড়িতে ডিফিউজার থাকে। সেটিতে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ-তেল দিলে তার গন্ধ নাকে আসবে।