লকডাউনের সময় ডিউটিতে 'গুরুতর গাফিলতি' করেছেন। সেজন্য উচ্চপদস্থ আইএএস কর্তাকে সাসপেন্ড করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আরও দুই অফিসারকে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : COVID-19 Update: সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করে বাসে ঠেসে-ঝুলে ভিটের পথে শ্রমিকরা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সাসপেনশনের মুখে পড়েছেন অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি (পরিবহন) রেণু শর্মা ও প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (অর্থ) রাজীব বর্মা। ডিভিশনাল কমিশনার পদেও ছিলেন রাজীব। অন্যদিকে, অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি (বাড়ি ও ভূমি আবাসন) সত্য গোপাল ও সিলামপুরের এসডিএম অজয় অরোরাকে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : মৃত্যু কালিম্পঙের করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ার, রাজ্যে মৃত বেড়ে ২
কর্তব্যে গাফিলতির জন্য চার অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছন ওই মুখপাত্র। তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই কমিটির চেয়ারপার্সনের নির্দেশ কঠোরভাবে লাগু করার দায়িত্ব ছিল চার অফিসারের উপর। কিন্তু প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে, তাঁরা সেই কাজে ব্যর্থ হয়েছেন। মুখপাত্র বলেন, 'লকডাউনের সময় জনস্বাস্থ্যও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ওই অফিসাররা ব্যর্থ হয়েছেন।'
আরও পড়ুন : Coronavirus in India: সাবধান! রাস্তায় বেরোলেই ভয় দেখাবে 'করোনা হেলমেট'
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, 'কাজের প্রতি সম্পূর্ণ সততা ও নিষ্ঠা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন (রেণু ও রাজীব)। কড়া শাস্তির জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাজনিত প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। '
আরও পড়ুন : COVID-19 Update: করোনা আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ২০০-র গণ্ডি, র্যাপিড টেস্ট শুরু হল কেরালায়
চারজনের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ ছিল, তা অবশ্য খোলসা করে জানায়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে সূত্রের খবর, গত দু'দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য দিল্লি পরিবহন নিগমের যে বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল, তার সঙ্গেই এই শাস্তির যোগ রয়েছে।