বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > একা গৌতম আদানিই ভারী পড়লেন ২২ কোটি মানুষের পাকিস্তানের শেয়ার বাজারের উপর!

একা গৌতম আদানিই ভারী পড়লেন ২২ কোটি মানুষের পাকিস্তানের শেয়ার বাজারের উপর!

গ্রাফিক্স: হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা (Soumick/HT Bangla)

Gautam Adani Net Worth: পাকিস্তানের স্টক মার্কেটের মোট মার্কেট ক্যাপ, বা বাজার মূলধন ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এদিকে চলতি বছর গৌতম আদানির মোট সম্পদ ৩৩.৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

Gautam Adani News: ২০২২ সালটা গৌতম আদানির জন্য বেশ শুভ গিয়েছে। এই বছরেই বিশ্বের ধনীতমদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান পর্যন্ত চলে আসেন তিনি। বর্তমানে যদিও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, আদানি গ্রুপের শেয়ারের সাম্প্রতিক পতনেও বিশেষ প্রভাব পড়েনি গৌতম আদানির 'নেট ওয়ার্থে'। চলতি বছর, তাঁর মোট সম্পদ ৩৩.৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৪৪.২% বৃদ্ধি পেয়েছে।

এইসব বিলিয়ন, হাজার কোটির হিসাবে কিছুটা ধাঁধা লেগে যেতেই পারে। আপনার জন্য বিষয়টা একটু সহজ করা যাক। আরও পড়ুন: Gautam Adani: খুব জলদিই বিশ্বের বাদশা হবেন গৌতম আদানি, হবেন ধনীতম ব্যক্তি, অনুমান বিশেষজ্ঞদের

ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। সেখানকার স্টক মার্কেটের মোট মার্কেট ক্যাপ, বা বাজার মূলধন ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাত্, সহজ ভাষায়, গত এক বছরে গৌতম আদানির মোট সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ, গোটা পাকিস্তানের মোট শেয়ার বাজারের মূলধনের চেয়েও বেশি। গৌতম আদানির শেয়ারের দর ২০২২ সালে ঠিক কতটা বেড়েছে, সেই ধারণা করতে এই তুলনাটুকুই যথেষ্ট।

বিশ্বব্যাপী মন্দা। ২০২২ সালে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সে পিছিয়ে গিয়েছেন বেশ কয়েকজন ধনকুবের। ব্যাতিক্রম গৌতম আদানি। এমন বাজারেও তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি লাগাতার খালি উপরের দিকেই উঠেছেন।

আরেকটি তুলনা দেওয়া যাক। ২০২২ সালে গৌতম আদানির সম্পদ যে পরিমাণে বেড়েছে, তা সালভাদর, হন্ডুরাস, কম্বোডিয়া, আইসল্যান্ড, ইয়েমেন, সেনেগাল এবং সাইপ্রাসের মতো প্রায় ৮৫টি দেশের ২০২১ সালের জিডিপি অঙ্কের চেয়েও বেশি। অর্থাত্, একটি ছোট দেশের যে জিডিপি ওঠে, তার চেয়েও বেশি সম্পদ বেড়েছে গৌতম আদানির।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গৌতম আদানি বিনিয়োগ-নয়া ব্যবসা নির্বাচনের ক্ষেত্রেই আসল বাজিমাত করেছেন। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, বিদ্যুত্, বন্দর, পরিবহন, বিমানবন্দর, প্রতিরক্ষা-সহ বিভিন্ন খাতে বিস্তৃত পোর্টফোলিও গড়ে তুলেছেন তিনি। পরিকাঠামো খাতেও তাঁর অবাধ বিচরণ। সময়ের সঙ্গে এই ব্যবসাগুলির চাহিদা বাড়ছে। বাড়ছে বিনিয়োগ। ঠিক সেই কারণেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে তাঁর মোট সম্পদ। আরও পড়ুন: কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরই হিমাচল প্রদেশে ২ কারখানা বন্ধ করল Adani!

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, তিনি বর্তমানে ভারতের ধনীতম ব্যক্তি। তাঁর পরেই স্থান রয়েছে রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্তা মুকেশ আম্বানির। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৫.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বন্ধ করুন