নিজের চেষ্টায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালিসন রেনু। নিজের উদ্যোগে তালিবান-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের ১০ জন কিশোরীকে উদ্ধার করলেন তিনি। এই কিশোরীরা প্রত্যেকেই সেদেশের 'রোবোটিক্স' টিমের সদস্য। এর আগে একাধিক আন্তর্জাতিক ইভেন্টে প্রযুক্তিবিদ্যায় বুদ্ধিমত্তায় নজর কেড়েছে এই মেয়েরা।
অ্যালিসন রেনু হার্ভার্ড থেকে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস এবং মার্কিন মহাকাশ নীতিতে মাস্টার ডিগ্রিধারী। ৬০ বছরের অ্যালিসনের নিজেরও একটি ১১ বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে তিনি জানান, আরও প্রায় ২৫ জন কৃতী আফগান ছাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
তালিবানদের হাত থেকে এই মেয়েদের উদ্ধার করতে অ্যালিসন নিজের পরিচিতি কাজে লাগান। কাতারের মার্কিন দূতাবাসের এক আধিকারিক তাঁর প্রাক্তন রুমমেট তাঁর মাধ্যমেই ওই মেয়েদের উদ্ধারের বন্দোবস্ত শুরু করেন। গত ৯ মে নিজে কাতারে উড়ে যান। তাঁর বন্ধু সেই দূতাবাস কর্মী কাতার থেকে কাবুলের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কাজ করেন।
২০১৯ সালে এক্সপ্লোর মার্স শীর্ষক প্রযুক্তি সভায় নজর কেড়েছিল এই রোবোটিক্স টিম। প্রত্যেকেরই বয়স ১৬-১৮-র মধ্যে। সেই সময়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আফগান নারীসমাজের মুখ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছিল এই মেয়েদের। 'তালিবান আগ্রাসনের খবর পেয়েই দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। ওদের কথা কিছুতেই ভুলতে পারছিলাম না,' জানালেন অ্যালিসন।
কাতারে পৌঁছনোর পর যুদ্ধকালীন তত্পরতায় প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র, নথি তৈরি করেন অ্যালিসন। দূতাবাসের বন্ধুর মারফত সমস্ত আয়োজন করেন তিনি। এরপর কাবুল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উড়ানে নিয়ে আসা হয় তাদের। আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপদে আছে ১০ জন। এর আগে কানাডার মানবাধিকার কর্মীরাও সেদেশের সরকারকে এ বিষয়ে আর্জি করেন। ২০১৮ সালে কানাডাতেও একটি প্রযুক্তি, রোবোটিক্সের ইভেন্টে অংশ নিয়েছিল এই কিশোরীদের টিম।