কোভিড পরবর্তী সময়ে ভারতের প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা ভয়ঙ্কর আর্থিক জটিলতায় পড়ে যায়। একটা সময় শ্রীলঙ্কা নিজেকে আর্থিকভাবে দেউলিয়া বলেও ঘোষণা করে। পরবর্তীতে নেপালের আর্থিক পরিস্থিতিতে সংকটের মেঘ দেখা দেয়। তবে, ভারতের আরও এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের পরিস্থিতি কেমন আর্থিক দিক দিয়ে? তার উত্তর দিলেন সেদেশের শাহবাজ শরিফ সরকারের অর্থমন্ত্রী ইশক দার।
পাকিস্তান তার যাবতীয় প্রদেয় ঋণের প্রতিশ্রতি পালন করে। সাফ বার্তায় পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলে একথা জানিয়েছেন সেদেশের অর্থমন্ত্রী ইশক দার। তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তান সুকসুক বন্ডের টাকাও দিয়ে যাচ্ছে যথা নির্দিষ্ট সময়ে। উল্লেখ্য, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এই টাকা দিতে হয় সাধারণত। ইশক দার বলছেন, ‘কোনও সম্ভাবনাই নেই পাকিস্তানের ঋণখেলাপি হওয়ার। রিপেমেন্ট ঠিক সময়ে হয়ে যাবে।’
'স্কুল চলাকালীন মদ্যপান নয়', জেলা শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকার নেপথ্যে কোন ঘটনা?
শনিবার পাকিস্তানের এক সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে এই বক্তব্য রাখেন। তাঁর অনুমান, দেশের যা বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি তাতে, পাকিস্তান, ২০২৩ সালের জুনের শেষে দেশের চলতি হিসাবের ঘাটতি ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে। তিনি বলছেন, অক্টোবর নিরিখে এই ঘাটতি ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কমে থাকবে। এদিকে, পাকিস্তানে জ্বালানির দাম নিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন। সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে যে, পাকিস্তানে জ্বালানির কি কোনও কমতির সম্ভাবনা রয়েছে? তার উত্তরে শাহবাদ শরিফ সরকারের অর্থমন্ত্রী ইশক দার বলছেন, পাকিস্তানে জ্বালানি ফোরাবার কোনও প্রশ্ন নেই।
এই ছবিতে কোথায় রয়েছে প্রজাপতি? ৫ সেকেন্ডে খুঁজে বের করতে পারবেন নাকি!
এদিকে, পাকিস্তানে নতুন করে এক রাজনৈতিক অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেদেশের গদি থেকে ইমরান খান পদচ্যূত হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর পার্টির প্রচারমূলক কাজ। গোটা পাকিস্তান জুড়ে নতুন নির্বাচনের ডাক দিয়ে চলছে ইমরান খানের ‘লং মার্চ’। আপাতত ২৬ নভেম্বর থেকে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ইমরান খানের নেতৃত্বে লং মার্চের আরও একটি অংশ শুরু হওয়ার কথা। সদ্য গুলিতে আহত পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বিভিন্ন ইস্যুতে শাহবাদ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে।