বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > 6 Accused of Umesh Pal Murder dead: ছেলে আসাদ থেকে বাবা আতিক, উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে ৬ অভিযুক্তর মৃত্যু ৫০ দিনে
6 Accused of Umesh Pal Murder dead: ছেলে আসাদ থেকে বাবা আতিক, উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে ৬ অভিযুক্তর মৃত্যু ৫০ দিনে Updated: 16 Apr 2023, 02:37 PM IST Abhijit Chowdhury আইনজীবী উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত আতিক আহমেদের গতকাল মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করা হয় সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন সাংসদকে। এই নিয়ে উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ৫০ দিনে। এদিকে আতিকের মৃত্যুর একদিন আগেই মৃত্যু হয়েছিল তার ছেলে আসাদেরও। 1/5 বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী উমেশ পালকে খুন করা হয়েছিল গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। সেই হত্যাকাণ্ডের পর উমেশের স্ত্রী জয়া পাল অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদ, আতিকের ভাই আশরাফ, আতিকের স্ত্রী শায়েস্তা পরভিন, আতিকের দুই ছেলে, আতিকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গুড্ডু মুসলিম, গুলাম এবং আরও ৯ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই অভিযুক্তদের মধ্যে ৬ জনেরই মৃত্যু হয়েছে গত ৫০ দিনে। 2/5 জানা গিয়েছে, আতিকের স্ত্রী শায়েস্তা পরভিন এখন পলাতক। তাঁর মাথার দাম ৫০ হাজার টাকা। এদিকে তাঁর দুই ছেলে উমর এবং আলি শিশু সুরক্ষা হোমের তত্ত্বাবধানে জেলে রয়েছে। এদিকে আতিক ও আশরাফের মৃত্যু হয় গতকাল। স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য এই দু'জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে দুষ্কৃতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে এই দু'জনকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের। 3/5 এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আরবাজ নামক এক অভিযুক্ত এনকাউন্টারে মারা গিয়েছিল। অভিযোগ, উমেশ পালের হত্যাকারীদের গাড়ির চালক ছিল আরবাজ। এদিকে আগামী ৬ মার্চ পুলিশি এনকাউন্টারে মারা যায় উসমান। পরে ১৩ এপ্রিল আতিকের ছেলে আসাদ এবং তার সহযোগী গুলাম পুলিশি এনকাউন্টারে মারা যায় ঝাঁসিতে। 4/5 গতকালই আসাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। আবেদন জানলেও বাবা আতিককে কবরস্থানে নিয়ে যায়নি পুলিশ। স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য আতিককে নিয়ে আসা হলে সেই বিষয়েই প্রশ্ন করছিলেন সাংবাদিকরা। সেই প্রশ্নের জবাব দিতে দিতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আতিকের। উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে পিছনে বাঁদিক থেকে গুলি করা হয় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে। এরপর তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আশরাফকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। 5/5 উল্লেখ্য, নিজের ছেলের মৃত্যুর একমাস আগেই আদালতে দ্বারস্থ হয়ে আতিক সুরক্ষার দাবি জানিয়েছিল। তবে সরকারের আশ্বাসের পর সেই আবেদন প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এরই মধ্যে ১৩ তারিখ ছেলে আসাদকে হারায় আতিক। এরপরই পুরো ভেঙে পড়েছিল সে। একদিন পরই দুষ্কৃতীদের আচমকা হামলায় মৃত্যু হল আতিকের। এদিকে আতিকের সহযোগী গুড্ডু মুসলিম, আরমান এবং সাবির বর্তমানে পলাতক। এরা প্রত্যেকেই উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ। এই তিনজনের মাথার দামই ৫ লাখ টাকা করে।