বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > 7th Pay Commission Implementation: রাজ্যে কার্যকর হতে পারে সপ্তম বেতন কমিশন, ২০২৪-২৫ বাজেটের পর মিলবে সুখবর?
7th Pay Commission Implementation: রাজ্যে কার্যকর হতে পারে সপ্তম বেতন কমিশন, ২০২৪-২৫ বাজেটের পর মিলবে সুখবর? Updated: 24 Nov 2023, 12:46 PM IST Abhijit Chowdhury রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের হতাশ করেছে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার। দিওয়ালির আগে থেকেই সেই রাজ্যে কর্মচারীরা ছিলেন বেতন বদ্ধির অপেক্ষায়। কিন্তু রাজ্য সরকার সুধাকর রাও সভাপতিত্বে গঠিত সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশনের মেয়াদ ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। 1/7 বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কর্ণাটকের রাজ্যপাল অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিবকে সপ্তম রাজ্য মজুরি কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছেন। এই নিয়ে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার সপ্তম পে কমিশনের মেয়াদ দ্বিতীয় বারের জন্য বাড়াল। 2/7 যখন বিজেপি সরকার কর্ণাটকে ক্ষমতায় ছিল, এবং বাসভরাজ বোম্মাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের বেতন স্কেল সংশোধন করতে এবং নতুন বেতন কাঠামো ইত্যাদি প্রণয়নের লক্ষ্যে সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর সেই কমিশন গঠিত হয়েছিল। আর সেই কমিশনের রিপোর্ট পেশ হওয়ার কথা ছিল এই মাসে। 3/7 এই আবহে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাঁরা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, এর আগে সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই ৮ মাসের মধ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট পেশ হয়েছিল। তবে এবার পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। এই আবহে সরকারি কর্মীদের প্রশ্ন, এবার কেন সপ্তম বেতন কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে? উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালের ১ জুন মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ষষ্ঠ বেতন কমিশন গঠন করেছিলেন সিদ্দারামাইয়া। ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ সেই কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, বেতন সংশোধন করেছিল সরকারি কর্মীদের। 4/7 সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সরকার ষষ্ঠ কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করেছিল সেবছর মার্চেই। বেতন সংশোধনের কারণে সরকারের উপর প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত বোঝা চেপেছিল। 5/7 উল্লেখ্য, কর্ণাটক সরকার এই নভেম্বরেই সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশনের রিপোর্ট গ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু বেতন কমিশনের মেয়াদ ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তাই বেতন সংশোধনের আশায় থাকা সরকারি কর্মচারীরা হতাশ হয়েছেন। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান সুধাকর রাও এবং অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বৈঠক করেছিলেন। তাই নভেম্বরেই কমিশন রিপোর্ট জমা দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। 6/7 প্রসঙ্গত, বর্তমানে কর্ণাটকের রাজনৈতিক চিত্র ভিন্ন। কর্ণাটক কংগ্রেস রাজ্যের মানুষকে পাঁচটি গ্যারান্টি দিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল। সরকার এর মধ্যে ৪টি গ্যারান্টি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসব প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন, সপ্ততম বেতন কমিশনের রিপোর্ট গ্রহণ করা হলে সরকারি কর্মীদের বেতন সংশোধন করা সম্ভব হবে না সিদ্দারমাইয়ার পক্ষে। 7/7 সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশনের রিপোর্ট গৃহীত হলে, সরকারি কর্মচারীদের বেতন সংশোধন শুরু করতে হবে। এতে সরকারের ওপর প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার বোঝা চাপবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই কমিশনের মেয়াদ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। জানা গিয়েছে, ২০২৪-২৫ বাজেটে রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির পথে হাঁটবে রাজ্য সরকার। এই আবহে বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য একটি কৌশল প্রণয়ন করা হবে তখন।