সরকারি কর্মচারীদের 'লিভ ট্র্যাভেল কনসেশন' সংক্রান্ত নিয়মে পরিবর্তন আনল সরকার। উল্লেখ্য, বাড়ি বা অন্য কোথাও বেড়াতে যাওয়ার জন্য একজন কর্মচারী এলটিসি এবং ১০ দিনের লিভ এনক্যাশমেন্ট পান। এই লিভ এনক্যাশমেন্টের দাবি জানানোর নিয়মকানুনে কিছু পরিবর্তন এসেছে।
1/8 ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার থেকে পার্সোনেল এবং ট্রেনিং ডিপার্টমেন্টকে রেফার না করেও সরাসরি এলটিসি-র রিইম্বার্সমেন্টের আবেদন জানানো যাবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট কর্মীর অফিসের মাথায় থাকা আধিকারিক সেই আবেদনে স্বীকৃতি দিতে পারবেন। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রেই তা করা যাবে। কোন কোন ক্ষেত্রে তা করা যাবে?
2/8 যদি আগাম কোনও টাকা দফতর থেকে ঋণ বাবদ নেওয়া থাকে এবং রিইম্বার্সমেন্টের আবেদন জানানোর জন্য ৬ মাস পর্যন্ত সময় হাতে আছে, এদিকে আগাম ঋণ নেওয়া থাকলে তা তিন মাসের মধ্যে একবারে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং সেই ঋণের ওপর ইন্টারেস্ট ধার্য করা হবে। এই দুই ক্ষেত্রে সরকারি কর্মী নিজের অফিসের প্রধান কর্তার অনুমোদনেই লিভ ট্র্যাভেল এনক্যাশমেন্ট পেয়ে যেতে পারেন।
3/8 সোজা কথায় বলতে গেলে, যে সমস্ত কর্মী ৬ মাস পর্যন্ত কোনও অগ্রিম নেননি তারা এই সুবিধা পাবেন। আবার কোনও কর্মী যদি তিন মাস পর্যন্ত অগ্রিম নিয়ে থাকেন ও এককালীন হিসাবে পুরো টাকা পেতে শর্ত সাপেক্ষে সম্পূর্ণ অগ্রিমের টাকা সুদ সহ তিন মাসের মধ্যে ফিরিয়ে দেন তাহলেও এই সুবিধা পাবেন।
4/8 এদিকে সিসিএস (এলটিসি) নিয়ম, ১৯৮৮-র ১৪ এবং ১৫ নং বিধি অনুযায়ী, যদি কেন্দ্রীয় সরকারি কোনও কর্মী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে 'ক্লেম' জমা দিতে পারছেন না, তখন এলটিসি সংক্রান্ত এই ব্যাতিক্রমী শর্ত কার্যকর হবে। সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক, দফতর, অফিসকে নিশ্চিত হতে হবে যে অনভিপ্রেত পরিস্থিতিতেই সেই কর্মী ক্লেম জমা দিতে পারেন।
5/8 ২১ ডিসেম্বর জারি করা নয়া অফিস মেমোর ফলে এলটিসির দাবি জানানো সংক্রান্ত ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের আগের সব মেমো ও নির্দেশিকা অকার্যকর হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর মেমো ইস্যুর পর থেকেই এই নয়া নিয়ম কার্যকর করার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ এক্সপেনডিচার।
6/8 এদিকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক, দফতর, অফিসকে এই নয়া মেমোতে অনুরোধ করা হয়েছে, বিলম্বিত এলটিসি ক্লেম মেটানোর ক্ষেত্রেও যেন এই সব নিয়ম মেনে চলা হয়। এলটিসি রিইম্বার্সমেন্ট প্রক্রিয়া সরল করার লক্ষ্যেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
7/8 মোটের উপর এলটিসির টাকা পেতে দেরি হচ্ছে সেই সংক্রান্ত অভিযোগ এবার অনেকটাই কমবে। এতদিন পর্যন্ত এলটিসির টাকার অনুমোদন দিত DoPT। সেক্ষেত্রে টাকা পেতে কিছুটা দেরি হয়ে যেত। কর্মীরা নিজে থেকে টাকা খরচ করার পরে সেই টাকা পেতে দেরি হওয়ায় সমস্যায় পড়তেন। তবে এবার সেই সমস্যা কিছুটা হলেও মিটবে। এবার থেকে বিভাগগুলির আর্থিক উপদেষ্টার সম্মতিতে বা অধীনস্থ বা সংযুক্ত অফিসগুলির বিভাগীয় প্রধান সম্মতি দিলেই অনুমোদন ছাড়াই কর্মীরা এবার থেকে এলটিসির টাকা পেয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে একটা শর্ত রয়েছে। যদি বিভাগীয় প্রধানের মর্যাদা যুগ্ম সচিবের থেকে নীচে হয় তবে সমস্যা হতে পারে।
8/8 এদিকে গত ২০ অক্টোবর একটি মেমোর মাধ্যমে সরকারি কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, এলটিসির মাধ্যমে বিমানের টিকিট কাটতে হলে অনুমোদনপ্রাপ্ত ট্র্যাভেল এজেন্টদের মাধ্যমেই কাটাতে হবে। বালমার লউরি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড, অশোক ট্র্যাভেলস অ্যান্ড ট্যুর এবং আইআরসিটিসির মাধ্যমে টিকিট কাটাতে হবে। এদিকে সেই উড়ানের ন্যূনতম ভাড়া এবং তার থেকে ১০ শতাংশ বেশি দামের টিকিট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দিতে হবে।