বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > 7th Pay Commission Protest: 'উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে', ২৪-এর ভোটের আগে শাসক দলকে চরম হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মীদের
7th Pay Commission Protest: 'উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে', ২৪-এর ভোটের আগে শাসক দলকে চরম হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মীদের Updated: 19 Dec 2023, 07:20 AM IST Abhijit Chowdhury ঘনিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন। এর আগে নিজেদের দাবি নিয়ে আরও সুর চড়াচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। এই আবহে লোকসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলের বিরদ্ধে আরও তীব্র আন্দোলনের হুঁশায়িরা দেওয়া হয়েছে। দাবি না মানা হলে, সরকার পক্ষকে 'উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে' বলেও আক্রণ শানিয়েছেন কর্মীরা। 1/8 পুরনো পেনশন স্কিম পুনর্বহাল করার বিষয়ে সরকারের ওপর কর্মচারীদের চাপ আরও তীব্র হয়েছে। এই আবহে বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডে আন্দোলনের তোড়জোড় শুরু করেছেন কর্মচারীরা। জাতীয় পুরনো পেনশন পুনর্বহাল ইউনাইটেড ফ্রন্টের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সীতারাম পোখরিয়াল বলেছেন যে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে বড় একটি আন্দোলন শুরু করা হবে। এর পরেও সরকার যদি পুরনো পেনশন ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে লোকসভা নির্বাচনে শাসকদলকে 'উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে'। 2/8 পুরনো পেনশন স্কিম পুনর্বহালের দাবিতে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন অবরোধের কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। এই আবহে তাদের সমর্থনের জন্য সারা রাজ্য থেকেই কর্মচারীরা এসেছিলেন। এই আবহে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পোখরিয়াল। এই নিয়ে তিনি বলেছেন, এভাবেই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করা হবে। তাহলেই সরকারের চোখ খুলবে। সরকার কর্মচারীদের ক্ষমতা উপলব্ধি করবে। 3/8 আন্দোলরত কর্মচারীরা বলেন, সরকার যখন সাংসদ ও বিধায়কদের আজীবন পেনশনের সুবিধা দিচ্ছে, তখন কর্মচারীদের কেন তা দেওয়া হবে না। যদি সরকার মনে করে যে নতুন পেনশন প্রকল্পটি উপকারী, তবে সরকার কেন তা সাংসদ এবং বিধায়কদের উপর কার্যকর করছে না। ৩৫ থেকে ৪০ বছরের চাকরির পরেও কেন কর্মচারীরা পেনশনের সুবিধা পাবেন না? তাহলে তো সরকারের উচিত অবিলম্বে সাংসদ ও বিধায়কদের পুরনো পেনশন সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া। 4/8 উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে জাতীয় পেনশন স্কিম এবং পুরোনো পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে রাজনীতি চলছে দেশে। বহু ক্ষেত্রেই সরকারি কর্মীরা পুরনো ব্যবস্থা চালু করার দাবি করেছে। কিন্তু নতুন পেনশন স্কিম নিয়ে কেন আপত্তি সরকারি কর্মীদের? কেন এত আন্দোলন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ? পুরনো আর নতুন পেনশন স্কিমের পার্থক্য কোথায়? সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, এনপিএস-এর অধীনে অবসর গ্রহণের পরে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত তারা। 5/8 এনপিএস বনাম ওপিএস: দুই পেনশন নীতির ফারাক কোথায়? কত টাকা জমানো হয়েছে, কত বছরে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, কী ধরনের বিনিয়োগ করা হয়েছে, বিনিয়োগ থেকে কত আয় হয়েছে - এই সমস্ত বিষয়গুলির উপর নয়া পেনশন প্রকল্প নির্ভর করে। সেখানে পুরনো ব্যবস্থায় শেষ পাওয়া বেতনের ৫০ শতাংশ পেনশন পাওয়া যায়। যা নির্ধারিত ছিল। সেইসঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও মিলত এতে। 6/8 এদিকে নয়া পেনশন প্রকল্পের আওতায় নিজের কর্মজীবনে যে পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করেন কর্মচারীরা, অবসরের সময় সেটার ৬০ শতাংশ টাকা তোলা যায়। যে টাকা তুললে কর দিতে হয় না। বাকি ৪০ শতাংশ অ্যানুইটিতে বিনিয়োগ করা হয়। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, শেষ যে বেতন তুলেছিলেন সরকারি কর্মচারী, সেটার ৩৫ শতাংশের মতো পেনশন বাবদ পাওয়া যায়। তবে সেটা যে মিলবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ পুরোটাই বাজারের উপর নির্ভর করে। 7/8 সরকারি কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, পুরনো পেনশন প্রকল্পে কোনও ঝুঁকি নেই। নয়া পেনশন প্রকল্পে ঝুঁকি আছে। যদিও অপর অংশের বক্তব্য, ন্যাশনাল পেনশন স্কিম যে বাজার-নির্ভর, তা ঠিক। কিন্তু দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে তাতে বেশি লাভবান হবেন কর্মীরা। তবে ঝুঁকি নিতে নারাজ অধিকাংশ সরকারি কর্মী। এই আবহে একাধিক রাজ্যে পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনার পক্ষে দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। 8/8 এর আগে ২০০৩ পর্যন্ত বাজেট বরাদ্দ থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন দিল সরকার। তবে বাজপেয়ী জমানায় চালু হয় ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে চালু হয় এনপিএস। এই নয়া ব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক বোঝা হালকা হয়। প্রাথমিক ভাবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য ছিল। পরবর্তীতে সব রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য তা প্রযোজ্য হয়। তবে বিগত কয়েক বছরে কিছু রাজ্যে নতুন করে চালু হয় ওপিএস।