আজ পতঞ্জলির মিথ্যা বিজ্ঞাপন মামলায় ফের একবার সুপ্রিম কোর্টে হাজির হন বাবা রামদেব। এর আগে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। তবে তা গ্রহণ করেনি আদালত। আজ শীর্ষ আদালতে রামদেব দাবি করলেন, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে তিনি রাজি।
1/5 পতঞ্জলি বিজ্ঞাপন মামলায় আজও সুপ্রিম কোর্টে কড়া কথা শুনতে হল রামদেব এবং তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণনকে। আজ আদালতে রামদেবের আইনজীবী জানান, তিনি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে রাজি। তবে শীর্ষ আদালত পর্যবেক্ষণে বলে, 'রামদেব মোটেই নিরপরাধ নন। তাঁর আচরণ দায়িত্বজ্ঞানহীন।' পাশাপাশি রামদেবের 'ইতিহাস' খারাপ বলেও পর্যবেক্ষণ করে আদালত।
2/5 আদ আদালতে নিজের আইনজীবী মুকুল রোহতগির মাধ্যমে বাবা রামদেব বলেন, 'আমি এ ক্ষেত্রে যা করেছি, তা ঠিক করিনি। আমি ভবিষ্যতে বিষয়টি মাথায় রাখব।' এই আবহে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসানুদ্দিন আমানুল্লার বেঞ্চ জানায়, রামদেবের ক্ষমাপ্রার্থনা গ্রহণ করা হবে কি না, তা ভেবে দেখবে আদালত।
3/5 সুপ্রিম কোর্ট রামদেবকে বলে, 'আপনার আগের ইতিহাস বেশ খারাপ। তাই আপনার ক্ষমাপ্রার্থনা গ্রহণ করা হবে কি না, তা আমরা ভেবে দেখব। আইন সকলের জন্য সমান। আপনি নিজেও ভালো করেই জানতেন আপনার কোরোনিল ওষুধে এই রোগ সারে না। এভাবে তো আপনি বিজ্ঞাপন দিতে পারেন না।'
4/5 উল্লেখ্য, এর আগেও পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় শীর্ষ আদালতে তুমুল ভর্ৎসিত হয়েছিলেন বাবা রামদেব। এমনকী আদালতে মিথ্যা কথা বলায় রামদেব এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালাকৃষ্ণনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
5/5 এর আগে গত ১০ এপ্রিল একটি হলফনামার আকারে দ্বিতীয়বারের মতো সুপ্রিম কোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছিলেন পতঞ্জলি কর্তা বাবা রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণন। তবে সেবারও তাঁদের ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করেনি শীর্ষ আদালত। এদিকে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে পদক্ষের না করায় সেদিন উত্তরাখণ্ড সরকারকেও ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ এপ্রিল।