পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ওভারে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে তার আগে নির্দিষ্ট ৫০ ওভারে ম্যাচ টাই করে অনন্য নজির গড়ে ফেলেন বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট টিম।
1/5 বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেটাররা যে সহজে হাল ছাড়ার পাত্র নন, সেটা তারা বারবার প্রমাণ করে চলেছেন। মঙ্গলবারই যেমন ফের পাকিস্তানের মেয়েদের বিরুদ্ধে ম্যাচে তারা শেষ পর্যন্ত মাটি কামড়ে লড়ে গেলেন। সুপার ওভারে ম্যাচ নিয়ে গিয়েছিলেন, তাতেও টাই হয়ে যায় সেই ম্যাচ। আর তাতেই বাংলাদেশের মহিলা টিম এবং ঢাকার ক্রিকেট মাঠ গড়ে ফেলেছে অনন্য নজির।
2/5 মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচটি প্রথমে অমীমাংসিত থাকে। টাই হলে সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ। তার পর সুপার ওভারের ম্যাচটিও টাই হয়ে যায়। এই নিয়ে এই বছর বাংলাদেশ দু'টি ম্যাচ টাই করে ফেলল। জুলাই মাসে ভারতের সঙ্গে একটি ম্যাচ টাই করেছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। সেই ম্যাচটি অবশ্য সুপার ওভারে গড়ায়নি। আর মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁরা টাই করলেন। এই ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ালেও, সেখানেও অমীমাংসিত ভাবেই শেষ হয় খেলা। এর থেকেও মজার বিষয় হল, ঢাকা প্রথম ভেন্যু, যেখানে ২টি টাই মহিলাদের ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
3/5 পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআই ম্যাচটিতে ৫ উইকেটে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে তারা শক্ত হাতে হাল ধরেন। তবে পুরো ৫০ ওভার খেলেই ৯ উইকেটে কোনও মতে ১৬৯ রান করে বাংলাদেশ। হাফসেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা।
4/5 নিগারের ১০৪ বলে ৫৪ রানের ইনিংস বাংলাদেশের জন্য কিছুটা অক্সিজেন ছিল। সেই সঙ্গে ফারগানা হকের ৮৮ বলে ৪০ রান বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডকে কিছুটা ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। নয়তো বাকিদের হাল ছিল তথৈবচ। তৃতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল ১৬। শোভনা মোস্তারি এবং ফাহিমা খাতুন ১৬ করে রন করেছিলেন। পাকিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সাদিয়া ইকবাল এবং নাশরা সান্ধু।
5/5 রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারও ল্যাজেগোবরে হয়। ৪৯.৫ ওভারে তারা ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায়। সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন সাদাফ শামস। ২৭ করেন পাক অধিনায়ক নিদা দার। বাংলাদেশের রাবেয়া খান একাই নেন তিন উইকেট। ম্যাচ টাই হলে সুপার ওভারে গড়ায়। সেখানে পাকিস্তান এক ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭ রান করে। জবাবে বাংলাদেশ সুপার ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১০ রান করে ম্যাচ জিতে যায়।