শুধু ভারতের জন্য, পুরো বিশ্বের জন্যই যে সাফল্যের গাঁথা লিখে রেখে দিয়েছে চন্দ্রযান-৩ মিশন, আবারও প্রমাণিত হল সেটা। একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় নাসাকে সাফল্য পেতে সহায়তা করল। যে পরীক্ষার ফলে বিস্তৃত দিগন্ত উন্মোচিত হয়ে গেল।
1/5 চাঁদের মাটিতে 'ঘুমিয়ে' আছে চন্দ্রযান-৩ মিশনের বিক্রম ল্যান্ডার এবং রোভার প্রজ্ঞান। তারইমধ্যে অন্যান্যদের 'গাইড' হিসেবে চাঁদে 'কাজ' শুরু করল ভারতের চন্দ্রযান-৩। শুক্রবার ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে 'লোকেশন মার্কার' হিসেবে কাজ শুরু করেছে ল্যান্ডার বিক্রমের একটি যন্ত্র। (ছবি সৌজন্যে এপি এবং NASA)
2/5 ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চন্দ্রযান-৩ মিশনের ল্যান্ডার বিক্রমে 'লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর অ্যারে' (LRA) আছে। তা চাঁদে 'মার্কার' তথা 'গাইড' হিসেবে কাজ করতে শুরু করেছে। চন্দ্রযান-৩ মিশনের সেই যন্ত্রের সিগন্যাল প্রতিফলিত হয়ে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার কাছে ফিরে যায়। যে যন্ত্র আদতে নাসার এবং চন্দ্রযান-৩ মিশনের ল্যান্ডার বিক্রমে সেই 'লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর অ্যারে' যন্ত্র বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। (ছবি সৌজন্যে NASA)
3/5 কীভাবে সেই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল? নাসার তরফে জানানো হয়েছে যে গত ১৩ ডিসেম্বর রাত ১ টা ৩০ মিনিটে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) সেই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। বিক্রমের দিকে নিজেদের লেজার আল্টিমিটার যন্ত্র তাক করেছিল নাসার 'লুনার রেকনাইস্যান্স অরবিটর' (এলআরও)। যখন সেই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল, তখন এলআরও থেকে ল্যান্ডার ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। বিক্রম ল্যান্ডারে বসানো যন্ত্রে প্রতিফলিত হয়ে এলআরওয়ে ফিরে আসে লেজার রশ্মি। তখনই বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন যে তাঁদের পরীক্ষা সফল হয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
4/5 সেই পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ার ফলে কী লাভ হবে? নাসার তরফে জানানো হয়েছে, পৃথিবীর চারপাশে উপগ্রহের অবস্থান নির্ধারণের জন্য সাধারণত নিজেদের কেন্দ্র থেকে লেজার রশ্মি পাঠানো হয়ে থাকে। ওই রশ্মির ফিরে আসতে কতক্ষণ সময় লাগে, সেটার ভিত্তিতে অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু উলটো কাজটা করে (চলমান উপগ্রহ থেকে পৃথিবীতে লেজার রশ্মি পাঠানো) উপগ্রহের অবস্থান নির্ধারণ করার অনেক সুযোগের দরজা উন্মোচিত হয়ে গেল। (ছবি সৌজন্যে ISRO)
5/5 উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ অগস্ট ইতিহাস গড়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছিল ইসরোর চন্দ্রযান-৩ মিশনের ল্যান্ডার বিক্রম। সেটার পেটের মধ্যেই ছিল রোভার প্রজ্ঞান। তারপর চাঁদের মাটিতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে থাকে রোভার এবং বিক্রম। তারপর 'ঘুমিয়ে' পড়েছে। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ISRO এবং NASA)