বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Delhi High Court on Go First: ৫৪ বিমানের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের নির্দেশ HC-র, চিরতরে বসে গেল ভারতের এই উড়ান সংস্থা
Delhi High Court on Go First: ৫৪ বিমানের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের নির্দেশ HC-র, চিরতরে বসে গেল ভারতের এই উড়ান সংস্থা Updated: 27 Apr 2024, 12:52 PM IST Abhijit Chowdhury গো ফার্স্টের পুনরুজ্জীবনের শেষ আশাতেও জল ঢেলে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। শুক্রবার বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রককে গো ফার্স্টের লিজ নেওয়া ৫৪টি বিমানের সবকটিরই রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কার্যকরভাবে ২০ বছরের পুরানো এই সংস্থা এর ফলে চিরতরে বসে গেল। 1/5 এর আগে স্পাইসজেট লিমিটেডের অজয় সিং এবং ইজ মাই ট্রিপ যৌথ ভাবে গো এয়ারের জন্য বিড করেছিল। তবে দিল্লি হাই কোর্টের এই রায়ের ফলে তাদের সেই প্রক্রিয়া ধাক্কা খেল। এদিকে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে গো ফার্স্টের নামে থাকা ৫৪ বিমানের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি তারা ভিতস্তা গঞ্জু। 2/5 আদালত ডিজিসিএ এবং এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে গো ফার্স্টকে যারা বিমানগুলি লিজ দিয়েছিল, তারা যেন কোনও ঝামেলা ছাড়াই বিমানের রেজিস্ট্রেশনের বাতিলের পরও তা উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে। তবে তা যে কবে সম্ভব হবে, তা বলা কঠিন। কারণ এই ৫৪টি বিমান উড়িয়ে নিয়ে যেতে হলে প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি সংস্থার শতাধিক ইঞ্জিন প্রয়োজন। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তত আগামী ১৪ মাসের জন্য সেই মার্কিন সংস্থা ইঞ্জিন সরবরাহ করতে পারবে না বলে জানা গিয়েছে। 3/5 উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল গো ফার্স্ট। আমেরিকান এরোস্পেস প্রস্তুতকারক প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনির সরবরাহিত ইঞ্জিনগুলিকে দোষারোপ করে ২০২৩ সালের ২ মে দেউলিয়া হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল গো ফার্স্ট। এর পরের দিন থেকেই তারা উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। 4/5 সমস্ত ঋণদাতাদের কাছে বিমান সংস্থাটির মোট দেনার পরিমাণ প্রায় ১১,৪৬৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিক্রেতা এবং বিমান লিজ দেওয়া সংস্থাগুলির বকেয়া সামিল রয়েছে। এর আগে ৮ এপ্রিল, এনসিএলটি স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ বিবেচনা করে তার কর্পোরেট ইনসলভেন্সি রেজোলিউশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য গো ফার্স্টকে ৬০ দিনের বর্ধিত মঞ্জুর করেছিল। 5/5 স্বেচ্ছায় নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য ন্যাশনল কোম্পানি ল' ট্রাইবুনালের কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছিল গো ফার্স্ট কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি জানায়, নগদের অভাবে যাত্রীদের উড়ান পরিষেবা দিতে ব্যর্থ তারা। সেই সময় গো ফার্স্টের কাছে মোট ৫৯টি বিমান ছিল এবং কর্মীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০০০।