বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Egg in ‘Alien Skeleton’: অবিশ্বাস্য! মেক্সিকোর 'এলিয়েনের' কঙ্কালের ভিতরে রয়েছে 'ডিম'
Egg in ‘Alien Skeleton’: অবিশ্বাস্য! মেক্সিকোর 'এলিয়েনের' কঙ্কালের ভিতরে রয়েছে 'ডিম' Updated: 20 Sep 2023, 03:15 PM IST Abhijit Chowdhury মেক্সিকোর এলিয়েনের কঙ্কালের ফের একবার পরীক্ষা করা হল। আর এবারে এক্সরে-তে ধরা পড়ল 'ডিম'। দু'টি কঙ্কালের মধ্যে একটি কঙ্কাল নারীর বলে দাবি করা হচ্ছে। এই আবহে জানা যাচ্ছে, এক্সরে-তে দেখা গিয়েছে, সেই কঙ্কালের কোমরের কাছে কিছু একটা রয়েছে। সেটি আবার ডিমের আকারের। এর জেরে কৌতুহল আরও বেড়েছে। 1/6 মেক্সিকোর কংগ্রেসে কয়েকদিন আগেই দু'টি কঙ্কাল দেখিয়ে দাবি করা হয়েছিল, সেগুলি ভিনগ্রহের প্রাণীর। তবে সেই কঙ্কাল নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে। এই আবহে ফের একবার পরীক্ষা করা হল সেই কঙ্কালগুলির। আর এবারে এক্সরে-তে ধরা পড়ল 'ডিম'। দু'টি কঙ্কালের মধ্যে একটি কঙ্কাল নারীর বলে দাবি করা হচ্ছে। এই আবহে জানা যাচ্ছে, এক্সরে-তে দেখা গিয়েছে, সেই কঙ্কালের কোমরের কাছে কিছু একটা রয়েছে। সেটি আবার ডিমের আকারের। এর জেরে কৌতুহল আরও বেড়েছে। 2/6 বিবিসির রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সোমবার নৌবাহিনীর ফরেনসিক চিকিৎসক জোসে দে'জেসুস জালসে বেনিতেজ মেক্সিকো সিটির নূর ক্লিনিকে এই পরীক্ষাগুলো করেছেন। ডঃ বেনিতেজ জানান, যে দু'টি দেহ মেক্সিকোর সংসদে দেখানো হয়েছিল, সেটি নিয়ে কোনও কারসাজি করা হয়নি। এই মমির দেহগুলি একটি প্রাণীরই। অন্য কোনও প্রাণীর দেহাংশ এতে জুড়ে দেওয়া হয়নি। 3/6 সম্প্রতি মেক্সিকো কংগ্রেসে দুটি মমি প্রদর্শিত হয়। দাবি করা হয়, ওই দুটি মরদেহ পৃথিবীর কোনও প্রাণীর নয়। এর পিছনে একটি জোরালো যুক্তিও খাড়া করেছেন ইউএফও বিশেষজ্ঞ জেইমি মোসান। দাবি করা হয়, ওই কঙ্কালের ৩০ শতাংশ ডিএনএ একেবারেই অপরিচিত। অর্থাৎ পৃথিবীতে এত শতাব্দী ধরে যত ধরনের প্রাণী ছিল তাদের কারও সঙ্গেই মিল নেই। এর ভিত্তিতেই মনে করা হচ্ছে, প্রাণী দুটি ভিন গ্রহের। 4/6 মেক্সিকোর ইউএফও বিশেষজ্ঞ জেইমি মোসান দাবি করেন, পৃথিবীতে পৌঁছানোর পর কোনওভাবে মারা যায় এই 'এলিয়েনরা'। প্রায় এক হাজার বছর আগে এই ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হচ্ছে। ডিএনএ সংক্রান্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছিল ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটি অফ মেক্সিকোতে। এরপরই অভিযোগ ওঠে, অন্য কিছু বা প্রাণীর অংশ জুড়ে এই মরদেহ দু'টিকে একই প্রাণীর কঙ্কার বলে দাবি করা হচ্ছে না তো? 5/6 এই প্রশ্ন ওঠার পরই সোমবার নূর ক্লিনিকে নৌবাহিনীর ফরেনসিক চিকিৎসক জোসে দে'জেসুস জালসে বেনিতেজ ফের পরীক্ষা চালান এই কঙ্কাল দু'টির ওপর। কারণ এর আগে ২০১৭ সালে পেরুর সৈকতে এমনই মমি খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছিলেন জেইমি মোসান। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল, সেগুলি ছিল হাতে তৈরি জিনিস। তাতে আঠা আর কাগজ মিলেছিল। মনে করা হচ্ছিল, সেই মমি দুটোই নাকি মেক্সিকো কংগ্রেসে প্রদর্শন করা হয়। তবে সোমবারের পরীক্ষার পর ডঃ বেনিতেজ জানালেন, মমির কঙ্কাল নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। 6/6 এদিকে যেই ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটি অফ মেক্সিকোতে প্রথমবার এই মমির পরীক্ষা হয়েছিল, সেখানকার গবেষক জুলিয়েটা ফিয়েরো দাবি করেছিলেন, ইউএফও বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক জেইমি মোসানের দাবি অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের কাছে ভিত্তিহীন লেগেছে। তিনি জানান, এই মমির কঙ্কালের ডিএনএ-র কিছু অংশ চিহ্নিত করা যায়নি ঠিকই, তবে কঙ্কালগুলি যে ভিনগ্রহীদের, এমনও কোনও প্রমাণ মেলেনি। এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষা প্রয়োজন এবং আরও উন্নত মানের পরিকাঠামো প্রয়োজন।