বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Five reasons why BJP won MP: ৪৫০ টাকায় LPG সিলিন্ডার দিয়েই কি মধ্যপ্রদেশ দখল BJP-র? রইল গেরুয়া ঝড়ের ৫ কারণ
Five reasons why BJP won MP: ৪৫০ টাকায় LPG সিলিন্ডার দিয়েই কি মধ্যপ্রদেশ দখল BJP-র? রইল গেরুয়া ঝড়ের ৫ কারণ Updated: 03 Dec 2023, 01:18 PM IST Abhijit Chowdhury ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৬। সেই সংখ্যার অনেক ওপরে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বিজেপি। এই রাজ্যে ফের একবার সরকার গঠন করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। এই আবহে বিজেপির জয়ের কারণগুলি কী কী? 1/7 ভোটের দামামা বাজতেই মধ্যপ্রদেশে গ্যাসের দান নিয়ে বড় ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। রাজ্যের গরিব মহিলাদের সারাজীবনের জন্য ৪৫০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন শিবরাজ। প্রসঙ্গত, দেশ জুড়ে দফায় দফায় যে ভর্তুকি বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছিল, তার ফলে ভোপালে উজ্জ্বলা যোজনার উপভোক্তাদের জন্য সিলিন্ডারের দাম ৬০৮.৫০ টাকা। তবে 'লাডলি বেহনা' প্রকল্পে তার থেকেও সস্তায় গ্যাস পাচ্ছেন অনেক পরিবার। 2/7 শিবরাজ জানিয়েছিলেন, 'লাডলি বেহনা' প্রকল্পের অধীনে উজ্জ্বলা যোজনার উপভোক্তারা মধ্যপ্রদেশে ৪৫০ টাকায় কিনতে পারবেন ১৪.২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডার। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী লাডলি বেহনা পোর্টালে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। এর জন্য শুধু এলপিজি সংযোগের আইডি এবং সমগ্র আইডি দিতে হবে। বর্তমানে ভোপালে ভর্তুকিহীন এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৯০৮.৫০ টাকা। 3/7 এদিকে শুধু গ্যাসের মূল্য কমানোই নয়, লাডলি বেহেনের অধীনে রাজ্যের মহিলাদের ১২৫০ টাকা ভাতা দেওয়ারও ঘোষণা করেছিল মধ্যপ্রদেশ সরকার। রাজ্যের দুঃস্থ ও যোগ্য মহিলাদের হাতে এই ১ হাজার ২৫০ টাকা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনেও বড় ভূমিকা ছিল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-র। 4/7 এদিকে লাডলি বেহনা ছাড়াও আরও চারটি কারণে বিজেপি মধ্যপ্রদেশে এত ভালো ফল করে থাকতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হল প্রচার ইস্যু। হিন্দি বলয়ের এই রাজ্যে মোদীকেই 'মুখ' করে প্রচার চালায় গেরুয়া শিবির। দক্ষিণের কর্ণটকে এই অঙ্কে সাফল্য আসেনি বিজেপির ঝুলিতে। তবে মধ্যপ্রদেশে 'মোদী ম্যাজিক' কাজে দিয়েছে বিজেপির জন্য। 5/7 কংগ্রেসের দুর্বলা এবং অন্তর্দ্বন্দ্বও বিজেপির সাফল্যের কারণ হতে পারে। ২০১৮ সালে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো তরুণ নেতাকে সামনের সারিতে আসতে দেয়নি কংগ্রেস। পরে সিন্ধিয়া দল বদল করে কমল নাথ সরকারের পতন ঘটিছেয়িলেন। আর এবার কংগ্রেস আগ্রাসী ভাবে প্রচারে নামতে পারেনি বিজেপির বিরুদ্ধে। যার জেরে হাত শিবির গতবারের ফলাফলের ধারের কাছে পৌঁছতে পারেনি এই রাজ্যে। 6/7 এদিকে বিজেপি ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই মধ্যপ্রদেশের ভোটের ছক কষা শুরু করে দিয়েছিল। অমিত শাহ নিজে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়ার গতিপ্রকৃতি বুঝতে তা সাহায্য করেছিল পদ্ম শিবিরকে। এই আবহে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করে দল। এই অঙ্ক কষে ভোট ময়দানে নামার বিষয়টি বিজেপির হিতে কাজ করেছে। 7/7 এরই মাঝে মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ম্যাজিক দেখা গিয়েছে এবারে। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে যে অঞ্চলে বিজেপির আসন সংখ্যা বেড়েছে, তার অনেকটা কৃতিত্ব প্রাপ্য সিন্ধিয়ার। গতবারের তুলনায় এবারে চম্বল অঞ্চলে ১৯টি আসন বেড়েছে বিজেপির। মালওয়ায় বেড়েছে ১৭টি আসন। এই অঞ্চলগুলি সিন্ধিয়া গড় হিসেবেই পরিচিত।