বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > East Bengal vs Mohun Bagan: কুয়াদ্রাতের মগজাস্ত্র, লাল-হলুদ হৃদয়, কোন ৫ কারণে মোহনবাগানকে হারাল ইস্টবেঙ্গল?
East Bengal vs Mohun Bagan: কুয়াদ্রাতের মগজাস্ত্র, লাল-হলুদ হৃদয়, কোন ৫ কারণে মোহনবাগানকে হারাল ইস্টবেঙ্গল? Updated: 20 Jan 2024, 12:32 AM IST Ayan Das কলিঙ্গ সুপার কাপের মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে উড়িয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল। ৩-১ গোলে জিতে সেমিফাইনালে চলে এল। কার্লেস কুয়াদ্রাতের মগজাস্ত্র, লাল-হলুদের প্রতি দায়বদ্ধতা-সহ কোন পাঁচ কারণে মোহনবাগানকে উড়িয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল, তা দেখে নিন - 1/5 কার্লেস কুয়াদ্রাতের নিখুঁত স্ট্র্যাটেজি: সারাক্ষণ মুখে হাসি লেগে থাকা লোকটার মাথা যে কতটা ক্ষুরধার হতে পারে, সেটা শুক্রবার টের পেল মোহনবাগান। সবুজ-মেরুনের যে কোনও প্ল্যান ‘বি’ নেই, তা খুব ভালোভাবেই জানতেন। তাই উইং দিয়ে আক্রমণের প্ল্যান ‘এ’-টা পুরো ভেস্তে দিলেন। ‘ডবল’ সুরক্ষা বলয় তৈরি রাখেন। প্রথম সুরক্ষা বলয় পার করতে পারলেও দ্বিতীয় বলয়ে গিয়ে অধিকাংশ সময় আটকে গেল মোহনবাগান। সেইসঙ্গে মোহনবাগানের ‘হৃদপিণ্ড’ হুগো বৌমাসকে কার্যত নড়তে দেননি। সৌভিক চক্রবর্তীকে লাগিয়ে হুগোকে বোতলবন্দী করে ফেলেন। ফলে মোহনবাগান বিপদে পড়লেও অন্যবারের মতো বাঁচানোর সুযোগ পেলেন না বৌমাস। (ছবি সৌজন্যে East Bengal) 2/5 দুর্দান্ত ডিফেন্স: ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স যেন নিজেদের অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। মোহনবাগানের আক্রমণ বিভাগ যখনই যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির এসেছে, সেটার উত্তর তৈরি ছিল জোস আন্তোনিয়ো পারদো, হিজাজি মাহেরদের কাছে। মোহনবাগানের আক্রমণ যখন আছড়ে পড়েছে, তখনও ডিফেন্স লাইন দিশেহারা হয়ে যায়নি। ক্রস তোলার আগেই ব্লক করে দিয়েছে, বক্সের মধ্যে উড়ে আসা ক্রস হেড করে বের করে দিয়েছে। পুরোপুরি প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন হিজাজিরা। (ছবি সৌজন্যে East Bengal) 3/5 নিশু 'দ্য ওয়াল' কুমার: শুক্রবার কী খেলাটাই না খেললেন নিশু। উইং দিয়ে মোহনবাগানের যখনই কোনও আক্রমণ আসছিল, তিনি রুখে দিচ্ছিলেন। বিশেষত কিয়ান নাসিরির অসংখ্য ক্রস ব্লক করেছেন। যে ক্রসগুলো বক্সের মধ্যে বিপদ তৈরি হতে পারত। নিজের পাশ দিয়ে বলই গলতে দিচ্ছিলেন না। ইস্টবেঙ্গলের দুর্ভেগ্যে রক্ষণের অন্যতম সৈনিক হিসেবে তাঁর নামটা আলাদাভাবে না বললে ফুটবল দেবতা সম্ভবত কখনও ক্ষমা করতেন না। (ছবি সৌজন্যে East Bengal) 4/5 ক্যাপ্টেন ক্লেইটনের স্কিল: ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ডটা যে এমনি-এমনি পরেন না, সেটা বুঝিয়ে দিলেন ক্লেইটন সিলভা। প্রথম যে গোলটা করে ইস্টবেঙ্গলকে সমতায় ফেরালেন, তাতে জালের একদিকটা ছিঁড়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। যখনই মোহনবাগানের বক্সের আশপাশে বল পেয়েছেন, তখনই ব্র্যান্ডন হামিলদের রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছে। আর শুধু উপরে উঠে দাঁড়িয়ে থাকেননি; ডিফেন্স, মাঝমাঠেও দাপিয়ে বেরিয়েছেন। (ছবি সৌজন্যে East Bengal) 5/5 কোচের উপর বিশ্বাস, লাল-হলুদ রঙের প্রতি দায়বদ্ধতা: ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড়রা শুক্রবারের ৯০ মিনিটে যেভাবে খেললেন, তাতে দুটো জিনিস বোঝা গিয়েছে। প্রথম, কোচের উপর অগাধ আস্থা আছে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের। চোখ বন্ধ করে তাঁকে ভরসা করেন। দ্বিতীয়ত, লাল-হলুদ রংটার প্রতি দায়বদ্ধতা। আর সেই লাল-হলুদ জার্সির জন্য নিজেদের উজাড় করে দিতেও রাজি। যেভাবে টিমটা খেলল ৯০ মিনিট, সেটা পুরনো দিনের ইস্টবেঙ্গলের কথা মনে করিয়ে দিতে বাধ্য। (ছবি সৌজন্যে East Bengal)